ব্যস্ততা বেড়েছে নগরে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ৭:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী সরকারের পতনের পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে সিলেটে নগরীর জনজীবন। হাঁফ ছেড়ে নিঃশ^াস নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী ও জনতা। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যস্ততাও বেড়েছে নগরীর।
তবে আগামী শনিবার থেকে পুরোদমে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে। তারা অপেক্ষায় ছিলেন নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায় যানবাহনের প্রচন্ড ভিড়। তবে ট্রাফিকের অনুপস্থিতিতে আনসার, বিএনসিসি, স্কাউট, ফায়ারসার্ভিস এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কর্মীদের সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে সবকিছু ছিল সুশৃঙ্খল। যানজট থাকলেও তা দীর্ঘ না হওয়ায় দুর্ভোগ ছিলনা কোনো। শিক্ষার্থীদের এই রাস্তায় নামা দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকে। কেউ কেউ তাদের পানি, জুস, কেক ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়নও করিয়েছেন। অনেকে দাবি করেছেন আগামীতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাজের ব্যবস্থা করার। এতে দুর্নীতি কমার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আয়েরও একটা সুযোগ হবে এবং সরকারও লাভবান হবে।
সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। মঙ্গলবার সিলেটের ব্যবসায়ী নেতারা সবাইকে মার্কেট ও দোকান খোলার আহবান জানান। এরপর বুধবার সব মার্কেট ও অনেক দোকানই খোলে যায়। যারা সেদিন খুলতে পারেননি তারা বৃহস্পতিবার খুলেছেন। তবে লুটপাটের আশঙ্কায় যারা দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়েছিলেন তারা শনিবার থেকে খুলবেন বলে জানান। তারা জানান লুটপাটের শঙ্কায় হাসিনা পতনের পরদিন সবকিছু খালি করে নিয়েছিলেন। এসব দোকানের বেশিরভাগ কর্মচারীও গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাই শুক্রবার দেখে শনিবার থেকে দোকান খোলার চিন্তা করছেন। এছাড়া বড়ো বড়ো যেসব প্রতিষ্ঠান দোকান খুলেছে তারাও বড়ো আকারে পাইকারী বিক্রি ও মার্কেটিং বন্ধ রেখেছেন। সবকিছু গুছিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে আবার নবউদ্যোমে শুরু করবেন বলে জানান। বৃষ্টির দিন থাকায় এখন ছাতার চাহিদা অনেক। তবে গত প্রায় একমাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দূরদূরান্তে মালামাল পৌঁছানো যাচ্ছিলো না বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আর গেল এক সপ্তাহ ধরে খুচরা দোকানগুলোও দোকানই খুলতে পারেনি। নগরীর মহাজন পট্টির ইদ্রিছ ভবনে প্রাচীনতম ছাতার কোম্পানী ইদ্রিছ এন্ড কোম্পানীর বিক্রয় কেন্দ্র ও কারখানায় গিয়ে দেখা যায় কর্মরতরা সবকিছু গোছগাছ করছেন। কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি মো.আবদুল্লাহ জানান বিভাগজুড়ে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত। অনেক পুরনো ছাতার কোম্পানী হওয়ায় প্রত্যন্ত জনপদেও তাদের ছাতার অনেক চাহিদা এখনও বিদ্যমান। ছাত্র আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় শনিবার থেকে তারা আবার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে মার্কেটিং শুরু করবেন।