অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈধ : সুপ্রিম কোর্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ৯:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের শপথের বৈধতা দিয়ে রুলিং দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন. তাকে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। শুক্রবার এই রুলিং জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে শপথের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে রুলিং দিয়ে, দুর্যোগ মুহূর্তে মধ্যবর্তী সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট থেকে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি বলেছেন এখন দেশে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেই। এ অবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত দরকার। পরে তারা আলোচনা করে ওই মত দেন।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংবিধানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের কোনো বিধান না থাকায় উল্লিখিত প্রশ্নের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই মতামত প্রদান করছে যে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় হয়েছিল তিন দশকেরও বেশি সময় আগে, আরেক সংকটময় সময়ে। সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাকে সরকারের প্রধান করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের ওই সময়ে প্রথমে উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করলে সাহাবুদ্দীন আহমদ উপরাষ্ট্রপতি হন। এরপর রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করলে সে পদে বসেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। তার অধীনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বিএনপি বিরোধীদের বর্জনের মধ্য দলীয় সরকারের অধীনে ষষ্ট জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে।
এরপর বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন হয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে।