৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারারের পদত্যাগ দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৪, ৮:৩০:৪৩ অপরাহ্ন
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ। একইসাথে দ্রুত নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার নিয়োগপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর জোর দাবি জানান তারা। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এ সময় ভিসিসহ এসব কর্মকর্তার স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ-বাণিজ্য, গুম-খুনের হুমকিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মাসুদ। বক্তব্যের শুরুতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অধিকার আদায়ের যৌক্তিক আন্দোলনে শহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে কাজী মাসুদ বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে ব্যাপক জনরোষের শিকার হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফলক, বঙ্গবন্ধু মুর্যাল, দুটি গাড়ি ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার গত ১ আগস্ট থেকে আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। আবাসিক কর্মকর্তা নিয়োগের পর থেকে সপ্তাহে দুই দিনের বেশি অফিস করেন না। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নিরাপত্তা প্রদান করে যাচ্ছেন।
ভিসিসহ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরও বলেন, বিশ্বিবদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চোখের ডাক্তার প্রফেসর এনায়েত হোসেন, ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমান (এ্যাডহক) নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, মাইম্যান, অযোগ্যতা, দুর্নীতি, অসদাচরণ, দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। তাঁরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছেন। রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান কথায় কথায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে আসছেন। তাঁর ভয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা তটস্থ ছিলেন। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে ভাইস-চ্যান্সেলরের মদদে এই রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান তার মালিকানাধীন সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে তার নির্মিত আয়না ঘরে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত এবং গুম ও হত্যার হুমকি দিত। এছাড়াও ভিসি তার পা-চাটাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম করেছেন।
তাই, এই তিন কর্মকর্তাকে দ্রুত পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন তারা। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান তারা। একইসাথে দ্রুত নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার নিয়োগপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর জোর দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। বিজ্ঞপ্তি