১৫ বছরে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট : সিপিডি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৪, ৯:১৪:৫২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংক ঋণের নামে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এ ছাড়া ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। সোমবার রাজধানীতে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিপিডির এক আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানান, গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ৪৭ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এ সময় আলোচকেরা বলেন, ব্যাংক খাতের ওপর জনগণ আস্থা হারালে আর্থিক খাতে বড় ঝুঁকি তৈরি হবে। সুশাসন ফেরাতে ব্যাংক রিফর্ম কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ব্যাংকের লাইসেন্স না দেওয়ার পরার্মশ দিয়েছে সিপিডি। সরকারের সাবেক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর না করারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সাথে নিয়ম অনুযায়ী সব নিয়োগ দেয়ায় জোর দিয়েছে সিপিডি।
এছাড়া ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ এক জন দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ৬ বছর করার প্রস্তাব করেন ফাহমিদা খাতুন। সংশোধনের প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইনটি সংশোধন করে দুই জন থেকে চার জন করা হয় এবং মেয়াদ করা হয় নয় বছর। পরে ২০২৩ সালে কমিয়ে ৩ জন করা হলো কিন্তু মেয়াদ করা হলো ১২ বছর। এই ব্যবস্থাটা কিন্তু একটি অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। আমাদের রিকমেন্ডেশন হচ্ছে, প্রতি পরিবার থেকে একজন করে পরিচালক থাকবে এবং তিন বছর করে সর্বোচ্চ দুই বারে ৬ বছর থাকবে।‘
বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতা সমুন্নত রাখার কথা উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা সে ক্ষমতা প্রয়োগ করে না।‘রাজনৈতিক কারণে যেন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স না দেয়া হয় দাবি করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘২০১৩ সালে নতুন করে ৯টা ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হলো। যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। বিভিন্ন ব্যাংক, টেলিভিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স কি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে দেয়া হয়? আর নতুন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স যেন অর্থনৈতিক উপযোগিতা বিবেচনা না করে দেয়া না হয়।‘