মৌলভীবাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসা-বাড়িতে হামলা হয়নি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ৮:২৩:২২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়াকে কেন্দ্র করে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বাসা-বাড়িতে এ পর্যন্ত একটিও হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। চারিদিকে হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়ায় জামায়াত, বিএনপি, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবৎ নির্ঘুম রাত পার করে তাদের উপাসনালয় ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাহারা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার জেলাকে অন্যান্য জেলার তুলনায় শান্তিপ্রিয় বলা হয়েছে বার বার। এরপরও যাতে কেউ কোন ধরণের নাশকতার সুযোগ নিতে না পারে এ জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। তবে গেল ৫ আগস্ট ব্যক্তিগত আক্রোষে শহরের ম্যানেজার ও রাধিকা স্টলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এরপর থেকে জেলাজুড়ে আর কোন অঘটন ঘটেনি।
সম্প্রীতি বজায় রাখতে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে কয়েকবার। শহরের রেস্ট ইন হোটেলে জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী’র সভাপতিত্বে ধর্মীয় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসায় প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ’র জেলা সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মণবীর রায় মঞ্জু ও পূজা উদযাপন পরিষদ’র জেলা সভাপতি আশু রঞ্জন দাশসহ ডজন খানেক নেতা। এছাড়াও শহরের সৈয়ারপুরস্থ লোকনাথ সেবাশ্রমে জামায়াতের সাথে মতবিনিময় সভায় লোকনাত সেবাশ্রমের সভাপতি অমলেন্দু দেব আবেগাপ্লুত হয়ে বক্তব্য রাখেন। সভায় তারা জানান, মুসলিম ধর্মাবলম্বী জামায়াতের ভাইয়েরা সারাক্ষণ খোঁজ খবরসহ পাহারা দিয়ে আমাদের আগলে রেখেছেন। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। শহরে পশ্চিমবাজারস্থ মদন মোহন জিউর আখড়ায় সঞ্জিত কুমার দাশ’র সভাপতিত্বে জামায়াতের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলাজুড়ে শান্তি ও সম্পৃতি বজায় আছে মর্মে হিন্দু নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে, জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলী মঙ্গলবার এ প্রতিবেদককে বলেন, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় ও বাড়িতে জেলাজুড়ে জামায়াত-শিবিরের ৬৭টি ইউনিয়নে ৬৭টি ইউনিট রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান আমাদের সকল নেতা-কর্মীদের বলেছেন, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর যাতে কোন সমস্যা নয়। সেটির খোঁজ খবর রেখে প্রয়োজনে পাহারা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। অতিউৎসাহী কেউ যেন দলে ঢুকে কোন অরাজকতা করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।