সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : এবার সাধারণ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলাস্থ ‘সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র কার্যালয়ে শিক্ষার্থী ও চালকদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায়সেনাবাহিনী। এসময় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে সাধারণ চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিগত দিনের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে এটাকে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। আয়-ব্যায়ের হিসেব চাওয়ার কোন নির্দেশনা পাননি বলেও জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলো সিলেট পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থী। এসময় কয়েকজন অটোরিকশাচালক তাদের কাছে এসে অভিযোগ করেন- ‘সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র সভাপতি জাকারিয়া আহমদের নির্দেশে বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। অভিযোগটি শুনে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর নির্ধারিত অভিযোগ ফোন নাম্বারে যোগযোগ করেন এবং বিষয়টি তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও চালকদের সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়নের কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন- সিলেটে অটোরিকশাচালকরা ন্যায্য থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে। এর কারণ হচ্ছে- জেলা কমিটি তাদের কাছ থেকে অহেতুক চাঁদা আদায় করে। সেজন্য যাত্রীর কাছ থেকে তারাও বেশি ভাড়া নেন। যদি চাঁদাবাজি না করা হতো তবে তারাও যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া কম নিতেন।
একাধিক চালকদের অভিযোগ- স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ নিরীহ শ্রমিকদের উপর জুলুম করছেন। আমাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। অথচ শ্রমকিরা কোনো বিপদে পড়লে ১ টাকাও সহায়তা করা হয় না। এছাড়া বছরের পর বছর ধরে এ কমিটিতে নির্বাচন দেওয়া হয় না। নির্বাচনের কথা বললেই সাধারণ চালকদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। আমরা এই জুলুমের অবসান চাই। অচিরেই কমিটি ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে এবং আমাদের কাছ চাঁদা আদায় বন্ধ করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকের সুবিধা-অসুনিধা কমিটিকে অবশ্যই দেখতে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনয়ন-৭০৭’র সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন- বর্তমান কমিটি বিরোধী কিছু চালক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনী নিয়ে কার্যালয়ে গেছেন। আর হিসাব চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। এমন কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি।