সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না : বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জালালাবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে মানুষ মারলেও পতাকা বৈঠক করে বলা হতো সব ঠিক হয়ে গেছে এমন কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সেই দিন শেষ হয়ে গেছে।

দুপুরে পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে আহত বিজিবির সদস্যদের দেখতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিজিবির বেশ কিছু সদস্য আহত হন। সেখানে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়েও খোঁজ খবর নেনমি. হোসেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিজিবির উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবির মতো একটা ফোর্সকে পিঠ দেখাতে বলেছে সীমান্তে। সীমান্তে আমাদের লোক মারে, বিজিবি পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য হয়। আমি বলেছি যে পিঠ দেখাবেন না। এনাফ ইজ এনাফ।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে মারে, আর আমরা বলি, পতাকা বৈঠক করেছে, সব ঠিক হয়ে গেছে বা আমি জানি না। দ্যাট ডেজ আর ওভার।

দেশের বিভিন্নআইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দানব বানানো হয়েছে উল্লেখ করে মি. হোসেন বলেন, ১৫ বছর এই ফোর্সগুলোকে দানব বানিয়েছে। যারা বানিয়েছে তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা কত লোক মেরেছে। প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করেছে। এগুলো ন্যাশনাল ফোর্স, কারও পারসোনাল ফোর্স নয়। পুলিশ খুবই অনুতপ্ত জানিয়ে তিনি বলেন পুলিশকে যারা দানব বানিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, একটু সবুর করেন, কতগুলো প্রক্রিয়া আছে। সরকারি অ্যাকশন নিতে গেলে অনেকগুলো প্রসেস আছে। যেগুলো টপাটপ করা যায় না। সুতরাং ধৈর্য ধরতে হবে।

হুকুমের আসামিদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একইসাথে পুলিশের পোশাক দ্রুতই পরিবর্তন করতে চান উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে যেন মানবিক পুলিশ হয় সেজন্য আমরা পুলিশ কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা করছি।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের সবার লিস্ট আমাদের কাছে আছে। দুই- এক দিনের মধ্যে আপনারা অ্যাকশন দেখবেন। অস্ত্র জমা না দিয়ে ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছেন।