মৌলভীবাজারে দুই এমপিসহ আ’লীগের ১৫৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ৭:০৪:৫৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাধা ও হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্যসহ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৫৫ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসাবে হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ২০০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল। গত রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক আব্দুল কাদির তালুকদার।
মামলার এজহারে আসামী করা হয়েছে জেলা আ’লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক, শেখ রুমেল আহমদ, একাটুনা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সনসহ ১৫৫ জন আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ নানা পর্যায়ের নেতাকর্মীকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের চৌমুহনা, আদালত সড়ক, এম সাইফুর রহমান সড়ক, শমশেরনগর সড়ক ও চাঁদনীঘাট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার উপর হামলা চালান অভিযুক্তরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধলে অনেকেই হতাহত হন।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদির তালুকদার জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট জেলা সদরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর নির্দেশে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ের হামলা চালিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে পিটিয়ে সড়কে ফেলে রাখা হয়।
তিনি জানান, গত রাতে থানায় ওই দুই সংসদ সদস্যসহ হামলায় জড়িত ১৫৫ জন আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় মামলায় আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।