সুনামগঞ্জে ঘুষের টাকাসহ ওষুধ প্রশাসনের কর্মচারী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ৭:৩৫:৩২ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মচারীকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই কর্মচারি জানিয়েছে, ঘুষের টাকার মাসোয়ারা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়ে থাকে। ওই কর্মচারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এর মধ্যে রয়েছেন সিভিল সার্জন আহম্মদ হোসেন, জেলা প্রশাসনের প্রাক্তন সিনিয়র নির্বাহী ম্যাস্টিট্রেট মো. বুরহান উদ্দিন (বর্তমানে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন) ও সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য সহকারী ওমর ফারুকসহ অন্যান্য ব্যক্তির নাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ ওষুধ প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়া নামের এই কর্মচারিকে আটকের পর এসব তথ্য জানায় সে। অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়া জানায়, ড্রাগ লাইন্সেস আবেদন করতে হলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ২০২০ সাল থেকে ১২২ জনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে লাইন্সেস প্রদান করা হয়েছে। অফিস তল্লাসি করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী নিহাল জানান, এক ভুক্তভোগীর তথ্যের ভিত্তিতে হাজিপাড়াস্থ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিসে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয় অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়াকে। তার কাছ থেকে ড্রাগ লাইন্সেস দেওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিমাসে সে কাদের মাঝে ঘুষের টাকা বণ্টন করতো সে তালিকাও উদ্ধার করা হয়েছে।