সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিচ্ছেন প্যানেল মেয়র?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ৯:৫৯:০১ অপরাহ্ন
শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের ২৪ ঘন্টা পার
স্টাফ রিপোর্টার: আ’লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে রয়েছেন আ’লীগের দলীয় মেয়র। ফলে সিলেটসহ বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মেয়র ও অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছেন প্যানেল মেয়র ও প্যানেল চেয়ারম্যানও। এমন পরিস্থিতিতে জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেছে সরকার।
বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়। কিন্ত সিলেটে শীঘ্রই এক প্যানেল মেয়র ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে এ নিয়ে হুশিয়ারী দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, আ’লীগের দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলাররা ছাত্রজনতার উপর হামলা চালিয়েছে। এমন কাউন্সিলারকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে ছাত্রসমাজ মেনে নিবেনা।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী- ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত থাকা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পূর্ণ দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর। তবে আগামী রোববার থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়েছেন প্যানেল মেয়র-১ মখলিছুর রহমান কামরান। ফলে সিসিকের দায়িত্ব পাচ্ছেন না সিইও।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেয়রের অনুপস্থিতিতে আমার দায়িত্ব পালনের আদেশ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বুধবার রাতে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এখানে বলা আছে মেয়রের পাশাপাশি প্যানেল মেয়রগণও যদি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে আমি দায়িত্ব নেব। সিসিকের ৩জন প্যানেল মেয়র রয়েছেন। রোববার একজন প্যানেল মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন। এরপরও যদি তিনি দায়িত্ব না নেন, তাহলে আরো ২ জন প্যানেল মেয়র বাকী থাকেন। ঐ দুজনও যদি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে আমি দায়িত্ব নিতে পারবো।
এদিকে বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যেসকল কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে, তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর মধ্যে সংশ্লিষ্টরা পদত্যাগ না করলে নগর ভবন ঘেরাওয়ের আল্টিমেটাম দেন তারা। বুধবার বিকেলে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে সিসিকের মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের পদত্যাগ দাবি করা হয়। পরে বুধবার রাত ১০টার দিকে সকল কাউন্সিলরের পরিবর্তে ছাত্রদের উপর হামলাকারী কাউন্সিলরদের পদত্যাগ চাওয়া হয়।
এব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও সিলেটের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমরা সিলেটের সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ যেসব কাউন্সিলার ও সিসিক কর্মকর্তা ছাত্রদের উপর হামলা জড়িত তাদের সকলকে পদত্যাগ করতে হবে। যিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের চেয়ারে বসবেন তার ব্যাপারটি আমরা যাছাই করছি। ঐ কাউন্সিলার যদি আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকেন তাহলে তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের চেয়ারে বসতে দেয়া হবেনা। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।