৪ দফা দাবিতে সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৩:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনার ফাঁসিসহ ৪ দফা দাবিতে সিলেটে ‘রেজিট্যান্স উইক’ এর সর্বাতœক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি ও সিলেট শাখা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচী শেষ হয় বিকেল ৫ টায়। এদিন ছাত্রজনতার মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় সিলেট শহর। সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নগরের চৌহাট্টাতে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে এসে শেষ হয়। চৌহাট্টাতে দিনব্যাপী চলে নানা স্লোগান, গান ও বক্তব্য।
শাবিপ্রবির সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশিরের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, সিলেটে জেলার সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম, শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান, জহির ইসলাম, মো নাসিম ও মাহবুব প্রমুখ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম বলেন, শহীদদের রক্তের ক্ষত এখনো শুকায় নাই। যারা প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে আছেন। ডুবে যাওয়া নৌকার যারা কান্ডারী হতে চান, তাদেরকে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। এ দেশের ছাত্র-জনতা ও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করে দিবে। খুনি হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলবেই।
সমাবেশে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ, সিলেট সরকারী কলেজ, মদনমোহন কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র-জনতার ৪ দফা দাবি হলো- ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলের পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাকা-কে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।