স্বাভাবিকে পথে দেশ : অস্বাভাবিক কেবল নিত্যপণ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ৯:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : আন্দোলন ও সরকার পতনের অস্বস্থি কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে দেশ। অথচ নিত্যপণ্যের বাজার সেই অস্বাভাবিক-ই রয়ে গেছে।গত প্রায় এক মাস যাবত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে পুরো দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ব্যাহত হয় পণ্য পরিবহন। সরবরাহ সংকটের প্রভাব পড়ে বাজারে। সেই প্রভাব এখনো রয়েছে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের ঝাঁজ আরো বেড়েছে। চালেও ফেরেনি স্বস্তি। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামেও অস্বস্তি কাটছেনা।
শুক্রবার সিলেটের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ভালো মানের দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা দরে। যা আগে চেয়ে ২০ টাকা বেশি। তবে ভারত থেকে আমদানি করা কিছু পেঁয়াজ এখনো ১০০ থেকে ১১০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। যদিও ভারতীয় পেঁয়াজের মান দেশি পেঁয়াজের চেয়ে কিছুটা নি¤œ।
ওদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের চড়া দাম এখনো একই অবস্থায় রয়েছে। বাজারে মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সময় পরিবহন বন্ধ থাকায় মোকামে প্রতি বস্তায় চালের দাম ২০০ টাকা বেড়েছে। এরপর তা এখনো কমেনি। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা তথা মিল ও পাইকারি পর্যায়ে তদারকি করলে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে।
প্রধান এ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। সবচেয়ে বেশি নাজেহাল দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষ।
অনেক ক্রেতা বলেছেন, চালের দাম কমেনা। একবার দাম বাড়ালে আর কমানো হয় না। এই নৈরাজ্যের শেষ কোথায়? আবার ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, গেল কয়েক বছরে বাজার যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন, মাত্র কয়েক দিনেই সেই বাজারে পণ্যের দাম নাগালে আসবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়।
এক চাল বিক্রেতা বলেন, এখন পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক। পণ্য আনা-নেওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবু কোনো কারণ ছাড়াই মিলাররা চালের দর বাড়িয়েছেন। সরকার মিলগুলোতে তদারকি করলে চালের দাম কমে আসবে।
চাল-পেঁয়াজে অস্বস্তির মাঝে সিলেটের সবজীর বাজারও চড়া। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশ স্বাভাবিক, পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক। পথে পথে চাঁদাবাজি নেই। তবু বাজারে সবজির দাম কমছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বরবটি, ছোট লাউ, কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে নামছেনা। কাঁচা মরিচের কেজি এখনো ৩০০ টাকায় কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও আকাল। ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম চলছে এখন। ফলে দাম অনেক কম থাকার কথা। কিন্তু সে তুলনায় কমেনি ইলিশের দাম। যদিও বাজারে মাছের প্রচুর সরবরাহ দেখা গেছে।