সাংবাদিক তুরাব হত্যা : এবার আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১:১১:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় এবার আদালতে মামলা দায়ের করলেন তাঁর ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর)। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো: সাদেক দস্তগীর কাউছার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০/২৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি এফআইআরমূলে গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এডভোকেট মো: আব্দুর রব।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, কতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কতোয়ালী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি পীযৃষ কান্তি দে, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ, সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।
এর আগে আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর) তাঁর ভাই হত্যার ঘঁনায় কতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এটিকে জিডি হিসেবে গ্রহন করে।
আদালতে মামলা দায়ের করে আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর) বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এটিকে মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতের স্বরানাপন্ন হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তুরাব। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। তাঁর শরীরে ৯৮টি স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলো ওসমানী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।