শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:০১:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ফের চালু হয়েছে বিয়ানীবাজারস্থ শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধ থাকা কয়লা ও পাথর আমদানি-রপ্তানি। এদিকে আবারো আমদানি-রপ্তানী শুরু হওয়ায় স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ ও সিলেট জেলা পাথর আমদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ।সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নেতৃবৃন্দ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে স্থানীয় এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ ও সিলেট জেলা পাথর আমদানীকারক গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পাথর আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আমদানীকারক গ্রুপের অর্থ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী।
সভায় বক্তারা দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে এ আমদানী-রপ্তানী চালু হওয়ায় দু’দুশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানান। তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে পারস্পারিক বানিজ্য এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন, আমদানি-রপ্তানী বন্ধ থাকলে শুধু দু’দেশের ব্যবসায়ীই নয়, বাংলাদেশ সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়। শুধু তাই নয়, আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েন।
সভায় ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের মাঝে কোন রাজনৈতিক ভেদাভেদ নেই। আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা ব্যবসায়ী। ব্যবসার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে আমরা সবসময়ই মিলেমিশে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, কয়লা ও পাথরবাহী ট্রাকগুলো দেশের ভেতর প্রবেশ এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্য ভারতে রপ্তানী শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কয়লাবাহী ট্রাকগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এতে করে সীমান্তে ব্যবসার পরিবেশ ফিরে এসেছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মইন উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সুহেল আহমদ, জাকারিয়া ইমতিয়াজ জাকির, মনিরুল হক, সেলিম আহমদ, নিয়াজ আহমদ, জুয়েল আহমদ, পারভেজ আহমদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি সাইফুদ্দিন, আবেদ আলী, নুরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার আপ্তাব মিয়া ও সিরাজ উদ্দিন প্রমূখ। এছাড়া সভায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।