ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী চিহ্নিত অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করুন—ফখরুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০২৪, ৬:১৯:০৭ অপরাহ্ন
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিগত ছাত্রজনতার আন্দোলনে সিলেটের রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলীবর্ষণকারী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সিলেটে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব ও শাবি ছাত্র রুদ্র সেন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও লুটপাট ও বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে দেশের সবগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী দুঃশাসনে বিধ্বস্ত দেশ ও রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সোমবার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, ড. নুরুল ইসলাম বাবুল ও জাহেদুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া সভায় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদের সকল সদস্য ও থানা আমীর-সেক্রেটারীসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার এক বিশাল বিজয় অর্জিত হয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে। মানুষ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। ছাত্র জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে একটি স্বার্থান্বেসী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় যারা লুটপাটের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সম্প্রীতির নগরী সিলেটের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।