কমছেই না কাঁচামরিচের ঝাঁজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:১০:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বাজারে কমছেই না কাঁচা মরিচের ঝাঁজ। গত কয়েক মাস থেকে সিলেটের কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কখনো কেজি ২০০ কখনো ৩০০ টাকা। আবার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। মঙ্গলবারও সিলেট নগরীতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচের সরবরাহ একেবারে কমে গেছে। আগে প্রতিদিন সিলেটে গড়ে ৭/৮টি কাঁচামরিচের গাড়ি আসত। বর্তমানে কাঁচা মরিচ নিয়ে দুই থেকে তিনটি গাড়ি আসছে। আর এই সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা। আবার কম পরিমান কাঁচামরিচ কিনতে দাম পড়ছে ৩৫০ টাকা।
জানা গেছে, সাধারণত নভেম্বর থেকে জুন মাসে দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ উৎপাদন হয়। আর ওই উৎপাদন দিয়ে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়।
নগরীর বন্দরবাজারের এক কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বলেন, সরবরাহ কম থাকায় কৃষকরা বাড়তি দরে মরিচ বিক্রি করছেন। তাই পাইকারি বাজারেও পণ্যটির দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে তখন দাম কমে যাবে।
অপর ব্যবসায়ী বলেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের সরবরাহে ভাটা পড়েছে। আমাদের বেশি দরে মরিচ কিনে আনতে হচ্ছে। তার ওপর ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচেও শান্তি নেই। আমদানি খরচ বেশি পড়ায় ভারতীয় মরিচেরও দাম বেশি পড়ছে। তাই দেশি বা ভারতীয় সব ধরনের কাঁচা মরিচ বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের একটা নির্দিষ্ট দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করার নির্দেশনা দিই। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা তা মানতে নারাজ। নজরদারি না থাকায় যার কাছে যেভাবে পারছে বিক্রি করছে। তাই শুধু পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করলে হবে না। খুচরা পর্যায়েও মনিটরিং করলে ভোক্তাদের ওপর চাপ কমবে।’
তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচে পানি লাগলেই নষ্ট হয়ে যায়। কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে মরিচ কিনে আনার সময় অনেকগুলো নষ্ট হয়। ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায়ও থাকে না। তাই লোকসান পুষিয়ে নিতে খুচরায় বাড়তি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।