নিহত পংকজের পরিবারের পাশে সিলেট মহানগর জামায়াত
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৪, ৯:০৯:২৮ অপরাহ্ন
ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে যাওয়ার দিন ৫ আগস্ট বিকেলে বিজয় মিছিল চলাকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিএনজি চালক পঙ্কজ কুমার কর। ঘটনার পরদিন কোতোয়ালী থানার ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পঙ্কজ কুমার কর (১৮) দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ার বাসিন্দা নিখিল কুমার করের পুত্র। লাশ উদ্ধারের পর পারিবারিকভাবে তার সৎকার করা হয়।
এদিকে, পুলিশের গুলিতে নিহত সিএনজি চালক পঙ্কজ কুমার করের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে নগর জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল নিহতের বাড়ীতে যান। এসময় তারা নিহতের পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন ও সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারী ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার প্রমূখ। এছাড়া নিহত পঙ্কজ কুমারের পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ছাত্রজনতার লাশের উপর দিয়ে তার স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনা গদি ছেড়ে পালিয়েছেন ঠিকই কিন্তু হাজার হাজার ছাত্রজনতার লাশ ফেলে গেছেন। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে গেছেন। তাকে এজন্য জনতার আদালতে জবাবদিহী করতেই হবে। নিহত সিএনজি চালক পঙ্কজ কুমার করের কোন দোষ ছিলনা। কতিপয় অতিউৎসাহী দলকানা পুলিশ ছাত্রজনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিজয় উৎসব চলাকালেও ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। সিলেটসহ সারাদেশে নিহত ও আহত ছাত্রজনতার পাশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী ছিল আছে এবং থাকবে। বিজ্ঞপ্তি