সিলেটে মিললো গুলিতে নিহত ২ সিএনজি চালকের লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৪, ৯:৩১:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে গুলিতে নিহত বা নিখোঁজ অনেকের লাশ এখনও মিলছে। কারো কারো গুলিতে নিহতের ভিডিও দেখা গেলেও লাশের কোনো খোঁজ মিলেনি। অনেক নিহতের স্বজনরা হয়রানির আশঙ্কায় কোনো ধরনের রিপোর্ট বা ময়নাতদন্ত ছাড়া গোপনে লাশ সৎকার করে ফেলেছেন। অনেকে স্বজনের গুলি খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলেও লাশের কোনো খোঁজ পাননি। এনিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেছেন বলে জানা গেছে। দৈনিক জালালাবাদের অনুসন্ধানে সিলেটের কোতোয়ালি ও দক্ষিণ সুরমা থানায় ঘটে যাওয়া এরকম দুটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় গত ৫ আগস্ট এসএমপির কোতোয়ালি থানার কাছে ক্বীনব্রিজের নিচে গুলিতে নিহত হন পংকজ কুমার কর নামে ২৩ বছরের এক তরুণ। তিনি দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার ঝালোপাড়া এলাকার নৃশিংহ জিউড় আখড়ার নিখীল চন্দ্র কর এবং অর্চনা করের ছেলে। নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কোতোয়ালি থানার কাছে গুলিতে নিহত হন পংকজ কুমার। পুলিশি ও রাজনৈতিক হয়রানির ভয়ে তারা নিহতের খবর কাউকে না জানিয়ে লুকিয়ে পরদিন ৬ আগস্ট লাশের দাহ করেন। এ নিয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো রিপোর্ট করেননি বা ময়নাতদন্তের দিকে যাননি। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তখন প্রতিবেশীদের মাধ্যমে নিহতের খবর মিলে এবং স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানায় আরেকেটি নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শাহজাহান মিয়া একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। তিনি মৌলভীবাজারের সনকাপন এলাকার মো. আরস আলীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ সুরমার ধরাধর পুরের কাজি মিয়ার বাসায় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি গত ৫ আগস্ট দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে আর আসেননি। এরপর তার কোনো সন্ধান না পেয়ে স্বনরা দিশেহারা হয়ে যান। পরে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ শাহজাহানের নিহতে ভিডিও দেখে চিনতে পারলেও লাশের কোনো হদিস পাননি। এ নিয়ে গত ২০ আগস্ট এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় স্বজনরা জিডি করেছেন।