আবেদনের যোগ্যতা নেই, তবুও তিনি শাবির শিক্ষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ৮:০৫:০৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) প্রভাষক নিয়োগে আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও ভাইভা দেওয়া সেই প্রার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শাবির জ্বালানি ও খনিজ প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার।
নিয়োগপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. তাজবিউল ইসলাম। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, শিবপুর (আইআইইএসটি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। স্নাতকে তাঁর সিজিপিএ ৭.৩৫ পয়েন্ট। ভারতের ওই প্রতিষ্ঠানে সিজিপিএ মোট ১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টে হিসাব করা হয়।
জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে পিএমই বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতায় স্নাতকে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএর শর্ত দেওয়া থাকলেও নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক তাজবিউলের প্রাপ্ত সিজিপিএ এই শর্ত পূরণ করে না। শর্তপূরণ না করলেও এই প্রার্থীকে নিয়োগ বোর্ডে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাইভা কার্ড দেওয়া হয়েছিল এবং গত ৬ জুন অনুষ্ঠিত ভাইভা বোর্ডে তিনি ভাইভা দেন। ভাইভায় সম-মূল্যায়নের সার্টিফিকেট দেখানোর নিয়ম থাকলেও তিনি তা দেখাননি। এরপরেও ভাইভা বোর্ড তাঁকে নিয়োগের জন্য সিন্ডিকেটে সুপারিশ করেন এবং তড়িঘড়ি করে অনলাইনে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হলে তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।
শাবিতে শিক্ষক নিয়োগে এই অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিগত সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এ নিয়ে নানামহলে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ওই বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের তথ্য-উপাত্ত দেখেছি, কোনোভাবেই এটা ৩.৫০ এর শর্ত পূরণ করে না। শিক্ষার্থীরা যে দাবি তুলেছে, বিভাগের শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে একমত। তিনি জানান, তিনি যখন বিভাগীয় প্রধান ছিলেন তখন দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে তাঁর পছন্দমতো এক্সপার্ট নিয়ে এসে বোর্ডে প্যানেল করে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন।