নর্থইষ্ট দক্ষিণ সুরমায় ৪ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে সড়ক অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ৯:০৬:৫৩ অপরাহ্ন
দক্ষিণ সুরমা সংবাদদাতাঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নর্থইষ্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালসহ চার জন শিক্ষকের পদত্যাগের জন্য দিনভর সিলেট-সুলতানপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সহ চার শিক্ষককের পদত্যাগ না করলে তাঁরা সড়ক থেকে যাবে বলে হুশিয়ারী দেয়। শনিবার সকাল থেকে কলেজের শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রিন্সিপালসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুরের দিকে সিলেট সুলতানপুর সড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় পথচারীরা নানা দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করেন। জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি দাওয়া উপস্থাপন করলে এমবিবিএসের শিক্ষার্থীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা দাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়। মডার্ণ সিলেট পেইজের এডমিন ও দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সদস্য জাহেদ আহমেদের উপর হামলা করে মোবাইলফোন ও বুম নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২২ আগষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোর্ড মিটিং করার কথা থাকলেও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বোর্ড মিটিং না করে প্রিন্সিপালসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছে। এ রিপোট লেখে পর্যন্ত সড়ক অবরোধে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ’র পদত্যাগ ও হোস্টেলের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৪ দিন ধরে আন্দোলন করছে হাসপাতালের প্রাক্তন ও বর্তমান নার্স শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছেন। শিক্ষার্থীদেরকে ২৪ আগস্ট শনিবারের মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নার্স শিক্ষার্থীদের দাবী বাস্তবায়নের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির মধ্যে রয়েছে প্রফেসর ডাঃ এএফএম নাজমুল ইসলাম, প্রফেসর ডাঃ হামিদা খাতুন, ডাঃ তাহমি ইকবাল রাব্বি, মিসেস ইলা সিনহা। এই কমিটি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের অবস্থা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশ ভালো। তাই কিছু বহিরাগত কলেজে এসে বর্তমান ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা মালিকপক্ষের একজন ব্যক্তি এবং একজন ডাক্তারকে হেনস্তা করছে। এই খবর পেয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে বহিরাগতের সহযোগিতায় নার্সরা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।