৬ ঘণ্টা খোলা ছিল কাপ্তাই বাঁধের গেট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ৯:১১:৪৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট খুলে দেওয়ার ছয় ঘন্টা পর দুপুর দুইটায় সেগুলো বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রোববার সকাল আটটায় কাপ্তাই বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাইয়ের উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাফিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, স্লুইসগেট খোলা থাকা অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হয়েছে। স্লুইসগেট খুলে দেওয়ায় ভাটিতে অবস্থিত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে ছিলেন। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব ভাটি অঞ্চলে পড়েনি বলে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়ার প্রভাব উপজেলায় নেই বললেই চলে। তবু ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের লোকজন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
শনিবার বিকেলে বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়ার খবরে তৎপর হয় স্থানীয় প্রশাসন। কর্ণফুলী নদী ও শাখাখালের তীরবর্তী এবং নিচু অঞ্চলে বসবাসরত মানুষকে সরে যেতে করা হয় মাইকিং। নদীতীরবর্তী অনেক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। অনেকে সরিয়ে নেন ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘বর্ষাকালে হ্রদে অতিরিক্ত পানি বাড়লে বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
প্রসঙ্গত, কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি স্লুইসগেট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা যায়।
কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলার ফলে কর্ণফুলী নদীতে পানির প্রবাহ বাড়লেও কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই, বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। বরং পানি না ছাড়লে বাঘাইছড়ি উপজেলা এবং এর আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশংকা ছিল বলে জানান তারা।