জুড়ীতে আ’লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ৭:৩২:৪১ অপরাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার পুত্র তারেক মিয়া। তিনি উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলে জানা যায়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়- সরকারি চাকুরী ব্যবস্থায় বৈষম্যের কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক দফা দাবীতে অসহযোগ আন্দোলনের সময় গত ৩ আগস্ট দুপুর ৩টায় জুড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরে মিছিল শেষে ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ নিউ মার্কেটের সামনে পৌঁছলে আসামীগণ দা, হকিস্টিক, চায়নিজ কুড়াল, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে গণহত্যার জন্য এলোপাতাড়ী মারপিট করে। এতে রক্তাক্ত আহতরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক মিয়া, সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, সদ্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল রানা, পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী, সাগরনাল ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুন নুর, জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, সাইদুল ইসলাম, শেখরুল ইসলাম, হুমায়ূন রশীদ রাজী, সিদ্দিকুর রহমান সুমন, সাইদুর রহমান, হাবিবুর রহমান জয়, এ আর সাজেদ, গিয়াস উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, কামরুল হাসান নোমান, সানাউল হক শাওন, শাহ আলম, নুরুজ্জামান শিপলু, বেলাল আহমদ, আশফাক আহমেদ আদনান, জবলু মিয়া, নিয়াজুল ইসলাম নিজু, আব্দুল আজিজ রুয়েদ, আহমদ আবির মামুন, সুমন পারভেজ, আল আমিন, হুমায়ুন রশীদ, তাওহিদ মোশারফ, এনামুল হক, সালমান আফরাজ, আমিনুল ইসলাম জাবেদ, খায়রুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার, তারেক হাসান, জামাল উদ্দিন, সানি পান্ডে, সাহাব উদ্দিন সামছু, নাসিম উদ্দিন, ইনসাফ আহমেদ, আবুল সাইম শাহীন, মামুনুর রশীদ, আলিম উদ্দিন, সহিদুর রহমান জুয়েল, ফারুক আহমেদ, আহমেদ ইমরুল অভি কানন, আবু বকর সিদ্দিক, নাসিম উদ্দিন, সাইফুর রহমান, মেহেদী হাসান, জায়েদ আহমদ, সুমেল, আসুক মিয়া, তাপস দাস, শাকিল আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, আতিকুর রহমান, শাহরিয়ার মাহবুব ও আফজালুল হক টনি।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।