ব্যাথায় কাতড়াচ্ছেন আখালিয়ায় গুলীবিদ্ধ নিজু-জাকিয়া দম্পতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ৯:৪২:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শরীরে ৫৩টি গুলী নিয়ে ব্যাথায় কাতড়াচ্ছেন সিলেটে কোটাবিরোধী আন্দোলনে গুলীবিদ্ধ নাঈমুর রহমান নিজু। এসময় তার স্ত্রী জাকিয়া আক্তার মাহির শরীরেও বিদ্ধ হয় ১৬টি স্প্লিন্টার। দুজনই শিক্ষার্থী হওয়ায় আন্দোলনের শুরুতে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তারা।
নিজু ও জাকিয়া দম্পতি জানান, ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবীর সমর্থনে রাজপথে থাকায় গত ১৮ জুলাই নগরীর শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন আখালিয়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন নাঈমুর রহমান নিজু (২৩)। তার শরীরের পিঠে ৫৩টি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। তিনি বর্তমানে সিলেটের বটেশ^রস্থ সিএমএইচএ চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এর আগে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা ধীরে ধীরে তার শরীর থেকে অপারেশনের মাধ্যমে গুলি অপসারণ করছেন। নিজু সিলেট ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির’ ৪৬নং ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার স্ত্রী জাকিয়া আক্তার মাহি (২৩) ‘সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির’ ৩২নং ব্যাচের শিক্ষার্থী। গত ১৮ জুলাই সিলেট নগরীর আখালিয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় মাথা ও শরীরের গুলি বিদ্ধ তিনি। গত দু’দিন আগে সিলেট সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা জাকিয়ার মাথা থেকে ১৬টি গুলি অপারেশনের মাধ্যমে বের করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। গুলিবিদ্ধ জাকিয়া ও নাঈমুর দু’জনই শারীরিকভাবে তারা এখনো সুস্থ হতে পারেননি। তারা নববিবাহিত দম্পত্তি। তারা দু’জন এক সাথে আখালিয়ায় আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন।
নাঈমুর রহমান নিজু এখনো সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বাসা সিলেট নগরীর আখালিয়া সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকায়। কানাইঘাট থানার সাতবাক ইউনিয়নের জুলাই গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা দু’জন নিজ উদ্যোগে কোটাবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন।
গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতড়ালেও কেউ যোগাযোগ না করায় দুঃখিত নন তারা। নিজু-জাকিয়া দম্পতি বলেন আমরা বিবেকের তাড়নায় আন্দোলনে শামিল হয়েছি। শেষ পর্যন্ত দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। ছাত্রজনতার বিজয় হয়েছে এতেই আমরা খুশী।