সুনামগঞ্জে এএসপি রাজন ও ওসি খালেদের শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ৭:০২:০২ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উৎসাহিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাসের নির্দেশে তৎকালীন সদর মডেল থানার ওসি খালেদ চৌধুরী হত্যার উদ্দেশ্যে রিপন মিয়া নামে এক থাই মিস্ত্রিকে পায়ে গুলি চালিয়ে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত করার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর আয়োজনে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহতের স্বজনসহ এলাকাবাসি অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন গোলাম হোসেন অভি, মোজাহিদুল ইসলাম মজনু, সাদিকুল ইসলাম সুপ্রিয়, আমির উদ্দিন, শিল্পী বেগম, তোলা মিয়া, রিপন মিয়া, মোশারফ হোসেন, সুমন মিয়া ও মহসিন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চলতি মাসের গত ৪ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা যখন রাস্তায় নেমে দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন করছিলেন তখন আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে দফায় দফায় তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঠিক এ সময় সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি(বদিপুর) গ্রামের দিনমজুর কামাল মিয়ার ছেলে থাই রাজমিস্ত্রি রিপন মিয়া শহরের জামতলা এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে। রিপন মিয়া পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পাশের বাসায় রাখা একটি সিএনজিতে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। এ সময় সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ছাত্র ভেবে তার পায়ের গোড়ালীর নীচে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়েন। পরে সাধারণ পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এনে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার পা কেটে ফেলা হতে পারে বলে মানববন্ধনে বক্তারা এবং আহতের স্বজনরা এমন অভিযোগ করেন।
অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার পাশাপাশি নির্দেশদাতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি খালেদ চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য বর্তমান সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।