শাবি গেইটে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ৯:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন
শাবিতে বাকশালী দোসরদের ফের
সক্রিয় হওয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে
আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দোসর কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিশ^বিদ্যাল গেইটে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে আখালিয়া, নয়াবাজার, টিলারগাঁও ও টুকেরবাজার এলাকার বিভিন্ন স্তরের শত শত মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাকশালীদের দোসর ছাত্রলীগ খোলস পাল্টিয়ে ফের বিশ^বিদ্যালয় হল ও ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। যাদের চাদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন অতীষ্ঠ ছিল। ঐসব সন্ত্রাসীদের শাবিতে অবস্থান স্থানীয় এলাকাবাসী মেনের নিবেনা। বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন শুন্য, ক্লাস নেই, অফিস কার্যক্রম বন্ধ। এরপরও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে হলে অবস্থান দুরভিসন্ধিমুলক। তাই বিশ^বিদ্যালয় ও তৎপাশর্^বর্তী এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকাবাসী হল শুন্য করতে সোচ্চার হয়। মঙ্গলবারও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে ছাত্রলীগের দোসররা শাবিতে মিছিল সমাবেশ করেছে। যা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। তারাই গত ৪ আগস্ট সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে কর্মসূচী পালন করেছে। তারা এবার খোলস পাল্টে বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে পুনবার্সন করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
সিলেট জেলা বারের সাবেক নির্বাচিত সমাজ সেবা সম্পাদক এডভোকেট আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে, সাবেক ছাত্রনেতা উবায়দুল হক শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে গুলজার আহমদ, মইনুল হোসেন, সাব্বির আহমদ, ফয়জুল হক ও আতিকুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে চুড়ান্ত বিজয়ের পর সারাদেশে স্বৈরাচারের দোসররা সক্রিয় হয়েছে। নানাভাবে সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রতি বিপ্লবের পায়তারা করছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে আমরা জানতে পারি ফ্যাসিবাদের দোসররা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান করছে এবং নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। এছাড়া আমরা আরও জানতে পেরেছি, ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চুড়ান্ত বিজয়ে নেতৃত্ব দেয়া সম্মানিত সমন্বয়কদেরকে নানাভাবে হেনস্তা, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত করা, ক্যাম্পাস কিংবা বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ জন্য এলাকাবাসী এ ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল অভিমুখে যায়। তবে আমরা জানতে পারি আবাসিক হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অবস্থান করছিলো। ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় করতে আমরা সকলকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেই। যাতে প্রশাসন আসার পর তারা প্রশাসনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে আবাসিক হলে থাকতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এলাকাবাসী বলেন, আপনারা আমাদের এলাকাবাসীকে ভুল বুঝবেন না। আমরা আপনাদের জন্য পাশে থেকে কাজ করেছি, করে যাবো। এ বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের, হল আপনাদের। আপনারা ছিলেন, আপনারা থাকবেন। সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা অবস্থান নিয়েছি। স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোন হল দখল করতে না পারে আমরা এলাকাবাসী সজাগ রয়েছি। আমাদের উপর আস্থা রাখুন, ধৈর্য্য ধরুন, সবাই মিলে একটা সুন্দর সমাধানে আমরা পৌছাতে পারবো। বিজ্ঞপ্তি