বড়লেখায় কাজ সম্পন্নের ৩ মাস না যেতেই উঠে যাচ্ছে পিচ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ৭:০৫:২৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের একটি পাকা রাস্তার মেনটেইনেন্স কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নি¤œমানের কাজের কারণে কাজ সম্পন্নের ৩ মাস না যেতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে উঠে যাচ্ছে পিচ। দেখা দিয়েছে গর্তের।
জানা গেছে, উপজেলার ফকিরবাজার পয়েন্ট থেকে মিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তায় ২৫ মিলি কার্পেটিং, ১০৮ মিটার আরসিসি, ২টি কালভার্ট, ৪০ মিটার গাইডওয়ালসহ প্রায় ৬৯ লাখ টাকার মেনটেইনেন্স (পিচ) কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পায় মেসার্স খালেদ এন্ড ব্রাদার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ি চলিত বছরের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্ত ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন না করায় এলজিইডি ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে। এই বর্ধিত সময়ের প্রায় এক মাস পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্চে কাজ সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ঋষি দাস, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ দাস, মিন্টু দাস, বিভাষ দাস, উৎফল দাস প্রমুখ অভিযোগ করেন, কাজের শুরুতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করেছে। বিটুমিনের পরিমান কম দেওয়ায় এবং সঠিক মাপের পাথর ব্যবহার না করায় রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজে অনিয়ম দেখে তারা অভিযোগ দিলেও ঠিকাদার তা আমলে নেয়নি। ফলে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই পিচ উঠা শুরু করে। বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়ায় হাতের মুষ্টিতে ও হাতের চাপে চিপ পাথর উঠে যাচ্ছে। বেরিয়ে পড়ছে ইট। সিডিউল অনুযায়ি রাস্তার উভয়পাশে সঠিক পরিমাণে মাটি ভরাট না করায় ইটের এজিং এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে যেতে এবং মাপ বহির্ভূত পাথর থাকতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খালেদ আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার কোনো বক্তব্য মিলেনি। উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় জানান, কাজ সম্পন্নের পরই রাস্তার কিছু স্থান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এজন্য হয়তো কিছু জায়গার ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে দেখে ঠিকাদারকে দিয়ে তা মেরামতের ব্যবস্থা নিবেন।