গরমের সাথে বেড়েছে লোডশেডিং
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ৮:১৮:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে ভাদ্রের তালপাকা গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। বৃহস্পতিবার সিলেট অঞ্চলে প্রায় ৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল বলে পিডিবি সূত্রে জানা গেছে। তাপমাত্রা ৩৪ এর ঘরে থাকলেও অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির মতো। এরআগে কয়েকদিন বৃষ্টি থাকায় গরম ততোটা অনুভূত না হলেও গত দুদিন থেকে বৃষ্টি না থাকায় ভ্যাপসা গরমে নাভিশ^াস উঠছে। ফলে লোডশেডিংয়ে যন্ত্রণাও প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে।
পিডিবি সূত্রে জানাগেছে বৃহস্পতিবার সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৮৬ দশমিক ৯০ মেগাওয়াট, এর বিপরীতে সরবরাহ মিলেছে ১৩৪ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি ছিল ৫২ দশমিক ৯০ মেগাওয়াট বা ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৪২ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলেছে ১০২ দশমিক ১৭ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি ছিল ৪০ দশমিক ৩৩ মেগাওয়াট বা ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। উৎপাদন না বাড়ানো পর্যন্ত বিদ্যুতের এই সমস্যা সহজে সমাধান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পিডিবি।
এদিকে একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে লোডশেডিং মিলে বাসবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষালয় সব জায়গায় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের ঘেমে নেয়ে কাজ করতে হচ্ছে। দিনে কয়েকবার করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। এতে ফ্যান-এসি তো চলছেই না, সাথে ব্যহত হচ্ছে অন্যান্য দৈনন্দিন কাজও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন সরকার পরিবর্তনের পর তারা আশায় ছিলেন এবার তারা অন্তত একটু শান্তিমতো ব্যবসা করতে পারবেন। কিন্তু কারেন্টের যে অবস্থা এতে ব্যবসা তো দূরে থাক জেনারেটরের খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদ নেতা মো. শিপন খান বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় কারেন্ট থাকেনা। একদিকে গরম অন্যদিকে কারেন্ট না থাকায় লোকজন দিনে মার্কেটে কম আসেন। আবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যা থেকে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত কারেন্ট আবার চলে যায়। এই সময় জেনারেটর দিয়ে বিকল্প কারেন্টের ব্যবস্থা করতে হয়। তিনি বলেন মার্কেট বা দোকানে ক্রেতা থাকুক আর না থাকুক দোকান খুলতে হয়। আর দোকন খুললে জেনারেটর দিয়ে কারেন্টের ব্যবস্থা করতেই হবে। এই অবস্থায় ব্যবসায় লাভের চেয়ে জেনারেটরের তেলের খরচ চালানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে হালকা বৃষ্টির আভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ২ দিনের পূর্বাভাসে তারা জানায় সিলেট বিভাগের কিছু কিছু অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে তারা জানায় মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।