বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শাবির ছাত্র রুদ্র সেন নিহতের ঘটনায় ৭৬ জনের নামে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪২:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের CEP ২০২১-২২ সেশনের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেটের মেয়রসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল ২০ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচীর অংশ হিসাবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটের পূর্বে সুরমা আবাসিক এলাকার প্রবেশ পথ এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী ছিল। আসামীগণ পরিকল্পিতভাবে অবৈধ বন্দুক, কাটা রাইফেল, দা ও লাঠিসোটা নিয়া পুলিশের সহিত মিলিত হইয়া নিরীহ ছাত্রজনতার উপর পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত আক্রমন করে। আসামীগণের আক্রমনে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাসাবাড়ীতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। আসামীগণ আন্দোলনরত নিরীহ ছাত্রজনতাকে ধাওয়া করে সুরমা আবাসিক এলাকায় এতিম স্কুলের রাস্তার দিকে নিয়ে যায়। ভিকটিম রুদ্র সেন আসামীদের ধাওয়ায় আহত অবস্থায় সুরমা আ/এ ও বাগবাড়ী এতিম স্কুলের রাস্তার সংযোগস্থলে শ্রোত প্রবাহিত গভীর খালে পড়ে যান। আসামীরা জানত যে, ভিকটিম রুদ্র সেন সাঁতার জানেন না। তাই পরিকল্পিতভাবে তাহাকে খালে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুনু মিয়া। মামলার ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৯/৩২৪/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলা নং-১৫, তারিখ: ২০/০৮/২০২৪ ইং, কোতোয়ালি জিআর-৩৭০/২৪ ইং। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- সিলেটের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ সাদেক দস্তগীর কাউছার, জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু খালেদ মোঃ মামুন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রো-ভিসি কবির হোসেন, প্রক্টর মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, কলেজ ইন্সপেক্টর তাজিম উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগা সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের নতুনবাড়ি মতুরাপুর গ্রামের পাঙাল সম্প্রদায়ের আব্দুল মালিকের পুত্র মো. সেবুল ইসলাম সাকিন, সিলেট নগরীর পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান। মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ৩শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।