এমপক্স চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত শামসুদ্দিন হাসপাতাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:২১:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, যাকে বলা হয় সদর হাসপাতাল। করোনা মহামারী চলাকালে এই হাসপাতালটিকে বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন করোনা রোগীদের পৃথক চিকিৎসা কেন্দ্রে রুপ নেয় হাসপাতালটি। করোনা মহামারী শেষ হলে ফের সাধারণ চিকিৎসায়ও ফিরেছিল সরকারী এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর রোগ এমপক্স (মাংকিপক্স)। শুরুটা আফ্রিকার দেশগুলোয় হলেও বর্তমানে এই অতিসংক্রামক রোগ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্থল ও বিমানবন্দরগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় এবার সিলেটে প্রস্তুত করা হলো আলাদা হাসপাতাল। সিলেটে এমপক্সে আক্রান্ত রোগী কিংবা সন্দেহভাজন রোগীদের আইসোলেশনে রাখতে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এমপক্সে আক্রান্ত রোগী কিংবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার্তে এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা আছে। এছাড়া দুটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও একটি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এমপক্সের বিষয়ে আমাদের চিকিৎসকদের তথ্যানুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় স্টাডির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বাংলাদেশে এখনো এমপক্সের কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরের পাশাপাশি একাধিক স্থল বন্দর রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা সিলেটে আসছেন। সেই দিক বিবেচনায় সিলেটে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এমপক্স রোগের চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে এমপক্স রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট চালুর ইঙ্গিত দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্সের বিষয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এ রোগে ইতোমধ্যে ৫শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পার্শ্বস্থ পাকিস্তানেও এ রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এমপক্স সম্পর্কে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, মাংকিপক্স বা এমপক্স ভাইরাস হলো অর্থোপক্স ভাইরাস। গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এমপক্স সেটির তুলনায় কম ক্ষতিকারক। আগে এমপক্স প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতো। কিন্তু এখন এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে এটি সংক্রমিত হচ্ছে। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি, ব্যথা প্রভৃতি। আক্রান্ত হলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে সুস্থ হয়ে ওঠতে।