সিলেটে যুবদল নেতা নিহতের ১ বছর পর আদালেত মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:২২:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গাড়িচাপায় যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় এক বছর পর মামলা হয়েছে। সদ্য বদলী হওয়ায় সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান, ৪ পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত ওই যুবদল নেতার নাম জিুলু আহমদ দিলু। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মদন গৌরি গ্রামের ইলিয়াছ আলী এলাইছের ছেলে।
রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে এ মামলাটি করেন নিহতের ভাই বুলু মিয়া। গত বছর এই দিনেই নিহত হন দিলু। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে দক্ষিণ সুরমা থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
মামলায় ডিআইজিকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ সুরমা থানার তৎকালীন ওসি শামসুদ্দোহাকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- থানার পরিদশর্ক আবুল হোসেন, এসআই লোকমান হোসাইন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ। ডিআইজি মিজান শাফিউর রহমানকে গত ২১ আগস্ট ঢাকাস্থ রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর অবরোধ চলাকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় পুলিশ ও সরকারী দলের লোকজন হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। দিলু মোটরসাইকেল নিয়ে স্থান ত্যাগ করার সময় পুলিশের গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দিলু পড়ে গেলে মারধর করা হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অনিহা প্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার ভয় ও বাড়িঘর দখলের হুমকি দেওয়ায় বাদী এতদিন মুখ খুলেননি। অনুকুল পরিবেশ ফিরে আসায় তিনি এখন মামলা করেছেন।