হকারমুক্ত সড়ক সিএনজির দখলে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীতে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করা হলেও হকারদের সেই জায়গা এখন সিএনজি অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। রোববার থেকে ফুটপাত ও রাস্তায় হকার উচ্ছেদে নামে প্রশাসন। এতে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে হকার সরে যায়। সোমবারও প্রশাসনের অভিযান অব্যহত থাকে। দু একটি জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ছোটোখাটো ঝাঁপি নিয়ে হকাররা বসার চেষ্টা করলেও অভিযানের খবরে তারাও সরে যায়।
তবে হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও অবৈধ সিএসজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান দেখা যায়নি। এতে নগরজুড়ে হকারশূণ্য রাস্তা যত্রতত্র সিএনজি অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। ফুটপাত ও রাস্তা হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দেখা গিয়েছিল তা সিএনজির ঘাড়ে চেপে আবারও চলে এসেছে। ফলে যাত্রী ও পথচারী চলাচলে আগের সেই বিড়ম্বানা থেকে গেছে, সড়কে থেকে গেছে সেই দীর্ঘ যানজটও।
সোমবার সরেজমিন নগরীর বন্দবাজারে সিটি কর্পোরেশনের সামনে দেখা যায় নগরভবনের গেইট থেকে লালদীঘির পার সড়ক পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশার পার্ক করা। দুই সারিতে যাত্রীর জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা এই সিএনজি রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে নিয়েছে। আগেরদিন রোববার পর্যন্ত এই জায়গা ছিল হকার ও সবজি বিক্রেতাদের দখলে। রাস্তা সিএনজির দখলে থাকলেও ফুটপাতে অল্প দু এক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন হকারকে মুরগির ঘিলা-কলিজা, চশমা ইত্যাদি নিয়ে বসতে দেখা যায়। সন্ধ্যার আগে এই এলাকায় আবারও অভিযান চালায় সিসিক কর্তৃপক্ষ। এসময় অভিযানের খবরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো ছোটো হকাররা দ্রুত সরে যান। হকার সরে ফুটপাত খালি হলেও রাস্তায় দিব্যি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল সিএনজি অটোরিকশাগুলো। আগে তারা অল্প কয়েকজন দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করলেও হকার সরে যাওয়ায় দুই দিন থেকে সেই ফাঁকা জায়গা শতাধিক অটোরিকশা এসে দখল করেছে। যানজট এড়িয়ে যানবাহন এবং নিরাপদে পথচারী চলাচলের জন্য যে হকার উচ্ছেদ সেখানে সিএনজির দখলে তা আগের অবস্থায়ই থেকে গেল। এতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে হকারের জায়গা যদি এসে সিএনজি দখল করে তাহলে হকার সরিয়ে নগরবাসীর কী লাভ হলো?