লাইসেন্স স্থগিতের পরও সিলেটে জমা হয়নি বেশিরভাগ আগ্নেয়াস্ত্র

স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এর মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সময় শেষ হলেও সিলেটে অস্ত্র জমায় সাড়া মিলছেনা। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরী এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে ২৪৮টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এ ছাড়া জেলাতে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৬৬৩টি। সবমিলে ৯১১ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৫৬টি জমা পড়েছে। বাকিগুলো জমা হয়নি।

সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার জানান, মহানগরীতে ২৪৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও জেলাতে ৬৬৩টি লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশিরভাগ অস্ত্রধারী আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়নি। যারা জমা দেয়নি, সরকারি আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, মহানগরীর ৬ থানায় লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র ২৪৮টি। এর মধ্যে সোমবার বিকাল পর্যন্ত ৫৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টা পর্যন্ত অস্ত্র জমা নেয়া হচ্ছে। তাই পুরো হিসেব পেতে বুধবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেসব জমা হয়নি সেসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হবে।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আমরা থানাগুলোকে প্রচারণা চালানোর জন্য বলেছি। এসব আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিলে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা আসার পর কাজ শুরু করবে পুলিশ।