ওসমানীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:২৮:৪৪ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরে খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসটিএম ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদানের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ অভিযোগে স্বাক্ষর করেন। অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসটিএম ফখরুল ইসলাম ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিস সহকারী ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি ও বেতন এবং সার্টিফিকেট উত্তোলনে অতিরিক্ত টাকা আদায়, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর স্থাপনে অনিয়ম, ২০২৩ সালে নৈশপ্রহরী সঞ্জয় মালাকারের নিয়োগ পরীক্ষার আগের রাতে চাকুরীর পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আদায়, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি থেকে উৎকোচ আদায়, বিদ্যালয়ে গাইড বই লাগানোর মাধ্যমে লাইব্রেরী থেকে টাকা আদায় করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিষয়গুলো চাপা দিতে তিনি খন্দকার বাজার প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিতব্য বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে এলাকাবাসির উপর দোষ চাপাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, থানায় অভিযোগের খবর পেয়ে এলাকাবাসির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঐদিন বিকেলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসির উদ্যোগে স্থানীয় খন্দকার বাজারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা প্রধান শিক্ষককে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে এলাকাবাসি প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ আহমদ, আবু জাফর, ইরাম আহমদ, রাহিম আহমদ,আল আমীন, মামুন চৌধুরী বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম করেছেন। আমাদের কাছে এর প্রমাণ আছে। আমরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই।
বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সঞ্জয় মালাকার বলেন, আমার নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য আফরুজুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম করেছেন। আমরা এলাকাবাসি তার অপসারণ চাই।তবে প্রধান শিক্ষক এসটিএম ফখরুল ইসলাম এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু লোকজন লেগেছেন। আমি নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় নৈশ প্রহরী নিয়োগের কাজ করেছি। আমার কাছে সব ডকুমেন্ট আছে।
ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এটি নিয়ে এলাকায় পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য আছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, এলাকাবাসি আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।