সিলেটে হদিস নেই লুট হওয়া ২১ অস্ত্রের : জমা দেননি ৮৪ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩২:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরীর বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া ২১ অস্ত্রের হদিস মিলেনি। একই সাথে জমা হয়নি লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৮৪টি অস্ত্র। ফলে এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামছে যৌথবাহিনী।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সিলেট নগরীর থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া ১০১টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২১টি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া সিলেট জেলা ও মহানগরে রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ৫৪৪টি। এসব অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশনা জারি করার পর এ পর্যন্ত ৪৬০টি অস্ত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো ৮৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া হয়নি। যারা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি ইতোমধ্যে তাদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। এসব অস্ত্রের থানাভিত্তিক তালিকা যৌথ বাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সিলেট মহানগরীতে ২৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। এর মধ্যে ১০ জন লাইসেন্স নিলেও তারা অস্ত্র কেনেননি। ব্যাংকের নিরাপত্তায় থাকা কিছু আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়নি। মহানগরীতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের কাছে রক্ষিত জমা যোগ্য ১৯৩টি আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও জমা হয়েছে ১৫৭টি। সবমিলিয়ে ৩৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি।
এদিকে, ৫ আগস্ট সিলেট মহানগরীর কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় ছাত্র-জনতা। এ সময় পুলিশের ১০১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। পরে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের ৮১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেও এখন পুলিশের ২১টি পাওয়া যায়নি।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, সিলেট জমাযোগ্য অস্ত্র ৫৪৪টি। এরমধ্যে মেট্রো এলাকায় মোট অস্ত্র ১৯০টি এবং জেলায় ৩৫৪টি। এরমধ্যে পিস্তল ও রিভলবার ৫৪টির মধ্যে ২১টি জমা পড়েছে। অন্যান্য অস্ত্রগুলো বন্দুক ও অন্যান্য ক্যাটাগরির।
তিনি বলেন, যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি। যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হবে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মহানগর এলাকায় জমাযোগ্য ১৯৩টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরমধ্যে ১৫৬টি জমা করা হয়েছে এবং ৩৬টি উদ্ধার করা হয়েছে। যারা অস্ত্র জমা দেননি, তাদের অভিযানে গ্রেপ্তার হলে অস্ত্র মামলার আসামি হবে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে অভিযান শুরু হবে।