সাইফুর রহমানের হাত ধরেই দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির যাত্রা : স্মরণ সভায় বক্তারা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪৫:২২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: এম সাইফুর রহমান ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ও অর্থনীতির চাকা সচলের একজন সমৃদ্ধ সুচিন্তক। তার হাত ধরেই দেশের ভঙ্গুর দশার অর্থনীতির সমৃদ্ধির যাত্রা শুরু। তিনিই এদেশে ভ্যাট প্রথার প্রবর্তন করেন। তিনি রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে যখনই যে সিন্ধান্ত নেওয়া উচিত তিনি তখনই সেই সিন্ধান্ত নিতেন। আর তা বাস্তবায়নেরও পথ সুগম করতেন। তিনি ছিলেন দৃঢ় চেতা ও স্পষ্টভাষী মানুষ। সর্বশ্রেণী ও পেশার মানুষকে খুব সহজেই আপন করে নিতেন। শিক্ষা, প্রশাসন ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সর্বস্থানেই তার সমান দৃষ্টি। কথাবার্তার সহজ সারল্যে, ভাবগাম্ভীর্যতায়, বক্তব্যে, কুটনৈতিক শিষ্টাচার ও শালীনতায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তিনি জাতীয় সংসদে ১২ বার বাজেট পেশ করে যুগান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশের দূর্বল অর্থনীতির ভীতকে সবল করতে এবং পরনির্ভশীরলতা কমাতে ভ্যাট প্রথা চালুসহ নানা দৃষ্টান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.সাইফুর রহমানের ১৫ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে আয়োজিত তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ তৌফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ড. মো: আব্দুল মতিন চৌধুরী ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইমাদ উদ দীন এর যৌথ পরিচালনায় স্মরণ সভার আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি.কে গউছ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মোসলেহ উদ্দিন তারেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এম নাসের রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল মো: ইয়ামীর আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আইনজীবী সুনীল কুমার দাস, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক ও এডভোকেট মামুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে এম সাইফুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলীর তৈরি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। স্মৃতি পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট হাফিজ আব্দুল আলীমের কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যম শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রথমে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ও ২য় স্বাধীনতা যুদ্ধ শহীদের স্মরণে ও দেশ জাতির কল্যাণে মুনাজাত করা হয় ও শিরণী বিতরণ করা হয়। এর আগে সকালে স্মৃতিপরিষদসহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা এম সাইফুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাদ জোহর পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ,দোয়া ও শিরণী বিতরণ করা হয়।
এম.সাইফুর রহমান ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের নিজ বাড়ি বাহারমর্দন থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের খড়িয়ালা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।