গাজা পরিস্থিতি ধারনার চেয়েও ভয়ঙ্কর
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন
*ইসরায়েলের সাড়ে ৩ হাজার হামলা * # নিহত ৪১ হাজার, নিখোঁজ ১০ হাজার
জালালাবাদ রিপোর্ট : ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের শিকার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি প্রকাশিত সংবাদ কিংবা ছবিতে যতটা দেখা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্যে জানা গেছে, উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা অন্তত ৩ হাজার ৫২৪টি হামলা চালিয়েছে এবং এসব হামলায় প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এসব হামলায় ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৮৯ জনই শিশু, যাদের মধ্যে আবার ১১৫ জন দুগ্ধপোষ্য। এ ১১৫ জনের জন্ম হয় গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই তাদেরকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে সরজমিনে দেখে সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন এনেস্থেসিওলজিস্ট আহমাদ ওবায়েদ। তিনি সামাজিক মাধ্যমে নিজের হ্যা-েলগুলোতে একটি ভিডিও প্রকাশ করে লিখেছেন, আপনারা হয়তো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কিংবা আল-জাজিরার মতো চ্যানেলগুলোতে লাইভ সম্প্রচারে এ ধরনের ভিডিও দেখে থাকবেন। কিন্তু টিভির পর্দায় কিংবা কম্পিউটারে আপনারা যা দেখতে পান, গাজার প্রকৃত বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।
এই মার্কিন চিকিৎসক আরও বলেন, আপনারা যখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এসব ভিডিও বা ছবি দেখেন, তখন আপনাদের অবচেতন মনে এ কথা জাগতে থাকে যে, ক্যামেরাম্যানরা হয়তো শুধু গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গাগুলোরই ভিডিও করে। অথবা তাদের কাজই খারাপ জায়গাগুলো দেখানো। তবে আমি বলব, সামাজিক মাধ্যম বা নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ছবিগুলো খারাপ দেখা যেতে পারে ঠিকই। কিন্তু আমার ধারনাই ছিল না যে, গাজার বাস্তব পরিস্থিতি এর চেয়ে শত গুণ বেশি খারাপ। আমি গাজার ধ্বংসযজ্ঞ নিজের চোখে দেখে হতভম্ব হয়ে গেছি। মানুষ এখন আমার কাছে গাজার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা জানতে চায়।
এদিকে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন অত্যন্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো অবরোধ করে রেখেছে এবং অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে। দখলদার সেনাদের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনিদের তারা চিকিৎসাসেবা নিতে দিচ্ছে না।