আল-জাজিরার রিপোর্ট: ইউক্রেনের পরাজয় এখন দৃষ্টি সীমানায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:৪৮:০৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গত আড়াই বছর ধরে যুদ্ধ চলছে দনবাসসহ আরও দুই অঞ্চলকে ঘিরে। এরমধ্যে ঘটে গেছে নানা ঘটনা। তবে যুদ্ধের ফলাফল এখন পর্যন্ত অনেকটাই একতরফা। রাশিয়া ইউক্রেনের বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে এবং আইনিভাবে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেছে। বিপরীতে ইউক্রেন গণমাধ্যমের সামনে বড়াই করা ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি।
এরইমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছে ক্রমাগত হারের প্রেক্ষাপটে সরকারে ব্যাপক রদবদল হয়েছে ইউক্রেনের। পদ ছেড়ে দিয়েছেন বহু মন্ত্রী। রাশিয়া তার সামরিক শক্তির সামান্য একটি অংশ ব্যবহার করেই দনবাসে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত পতন হচ্ছে একের পর এক নতুন শহরের।
কদিন আগেই ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক এলাকায় আক্রমণ করে চমক দেখিয়েছিল। কিন্তু সময় যেতেই বুঝা যাচ্ছে যে, এই আক্রমণের আসলে কোনো কৌশলগত গুরুত্ব নেই। দনবাসে রাশিয়ার অগ্রগতি অব্যাহত আছে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও এই যুদ্ধ, কঠোর সামরিক মোবিলাইজেশন, প্রায় প্রতিদিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং দুর্নীতিতে ক্লান্ত। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জনপ্রিয়তাও নেই বললেই চলে।
এ মাসের শুরুতে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং ছয়জন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে, ইউক্রেনীয় বাহিনী তীব্র জনবলের অভাবে ভুগছে। তারা বলছেন, আমাদের নতুন মন্ত্রী দরকার নয়, আমাদের নতুন সৈন্য দরকার।
গত বছর জেলেনস্কি শীর্ষ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে বরখাস্ত করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রদবদলের পেছনে ছিল জনসাধারণের অসন্তোষ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি মিডিয়া-ফ্রেন্ডলি রদবদল। মন্ত্রিসভা এবং প্রশাসনের মধ্যে একটি রোটেশন। যাতে দেখানো যায় সরকার নতুন হয়েছে।