ছাতকে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩৮:২৯ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি :
ছাতকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৮-৯ ঘন্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। লোডশেডিংয়ের নামে ঘন-ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জনজীবনে নেমে এসছে চরম ভোগান্তি। সময়ে-অসময়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ঘটছে চরম ব্যাঘাত। একদিকে গরম আর অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী। এতে ভুক্তভোগি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন শহরসহ উপজেলাজুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে। এসব অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জ করতে প্রচুর পরিমান বিদ্যুত ব্যয় হচ্ছে। বেশীরভাগই অটো রিক্সার ব্যাটারী অবৈধ লাইন দিয়ে চার্জ দেয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ ফায়দা নিয়ে অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জের সুযোগ করে দিয়েছে বলেও অনেকেই মনে করেন। অনেক আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় অবৈধ সংযোগ দিয়ে এসব অসাধু কর্মকর্তারা নিজেদের পকেট ভারী করছেন। এসব অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে বিদ্যুতের যে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে তা লোডশেডিং নামক শব্দ ব্যবহার করে অসাধু কর্মকর্তারা সাধারণ গ্রাহকদের শান্তনা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করছেন জনসাধারণ।
একটি নির্ভযোগ্য সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত অনেকেরই বাসায় রয়েছে অবৈধ সংযোগ। তারা বিনা বাধায় দিনের পর দিন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জে সীমাবদ্ধতা আনতে পারলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং গ্রাহক ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। এসব ক্ষেত্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করার দাবী জানান তারা।
বিদ্যুতের দুরাবস্থা নিরসনে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, প্রকৌশলী সুমন আহমদ এ সময় তাদের জানান, প্রয়োজনের তুলনায় এখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না। ছাতক অঞ্চলে প্রতি ঘন্টায় যেখানে বিদ্যুতের প্রয়োজন ১২-১৩ মেগাওয়াট সেখানে তারা পাচ্ছেন ৭ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে তারা লোডশেডিং করছেন। বর্তমানে সারা দেশেই এ অবস্থা বিরাজ করছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তবে খুব শিঘ্রই বিদ্যুতের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।