প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পায়নি পিএসসি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:২৩:১১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বিসিএসসহ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছিল, তদন্তে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে পিএসসির গঠিত কমিটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।
বুধবার পিএসসিতে এক সভায় এই প্রতিবেদন পেশ করা হয়। সভা শেষে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। এখন এই প্রতিবেদন আমরা সরকারের কাছে পাঠাব। সভায় তদন্ত প্রতিবেদন সদস্যদের পড়ে শোনানো হয়। সেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা প্রমাণিত হয়নি।
তিন সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি তাতে আহ্বায়ক করা হয় সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খানকে। কমিটির সদস্য পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয় পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে।
বিষয়টি পিএসসির সবশেষ সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কমিশনের একজন সদস্য জানান, তদন্ত কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পরীক্ষক, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কোনো পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ কয়েকটি অভিযোগে পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা এখন কারাগারে রয়েছেন।