শাহপরাণ মাজারে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:৫২:৫৪ অপরাহ্ন
হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারের ওরসকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা আখতারুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজা সেবন, মাদকের আস্তানা, নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশা, নারী পুরুষের অশ্লীল নাচ-গানসহ বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়ে আসছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর এলাকার ছাত্র, যুব, আলেম সমাজ ও সর্ব সাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মাজার কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে উভয়পক্ষ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, মাজারের পবিত্রতা রক্ষার্থে এই বছর থেকে ওরসের নামে গাঁজা ও মদের আসর, গান বাজনাসহ সকল প্রকার অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, শাহপরাণ মাজার এলাকায় ওরসের নাম ভাঙিয়ে কিছু কুচক্রি মহল দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘœ ঘটাতে এবং মাজারের পবিত্রতা বিনষ্ট করতে পারে এই আশংকায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য ছাত্র সমাজ এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষ মাজারের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনে উদ্যোমী হন। ৩ দিনব্যাপী ওরসের প্রথম ২ দিন প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে ওরস পালিত হয়। কিন্তু সমাপনী বা আখেরী মোনাজাতের আগে আনুমানিক রাত ৩ টা ১৫ মিনিটের সময় দেশ বিরোধী কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠি ও স্বৈরশাসকদের দোসর পুণ্যভূমি সিলেটকে পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করার জন্য দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমাদেরকে আহত করে এবং হত্যার উদ্দেশে জিম্মি করে রাখে। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জনতা আমাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ এবং আমাদের অনেক সহযোগী গুরুতর আহত হন। এমন হামলার নিন্দা জানিয়ে মাওলানা আখতারুল ইসলাম বলেন, শান্তিপ্রিয় নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নাইম উদ্দীন, মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা জিল্লুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আহাদ নুমানী, মাওলানা শামীম আহমদ, মাওলানা আফদান খলীল, মাওলানা লিমন আহমদ, মাওলানা কবীর উদ্দীন লিটন, মাওলানা রুম্মান খলীল, মো. আব্দুর রহমান ফাহিম, মো. এমরান আহমদ, হাফিজ জাবের আহমদ, মো. জালাল আহমদ, মো. সাইফুর রহমান মিজু, মো. সাদিক খান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি