সিলেটে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৫৭:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে ধর্মীয় নেতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটলের হল রুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুরর্স পার্টনার ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা) আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনিস্টটিউট (আইআরআই) ও ইউএসএআইডির সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় ম-লের সভাপতিত্বে রূপসার প্রোগ্রাম পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরের সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, জেলা সভাপতি মাওলানা মো. এহসান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ পরিষদ সিলেট জেলার সভাপতি অমৃত রাম ভট্টাচার্য, সিলেট জেলা পুরোহিত মন্ডলীর সভাপতি জয়ন্ত বিজয় চক্রবর্তী, সিলেট প্রেস বিটারিয়ান চার্জের জ্যেষ্ঠ পাস্টর রেভারেন্ড ফিলিপ বিশ্বাস ও সিলেট বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ মহানাম ভিক্ষু।
কর্মশালায় রূপসার প্রোগ্রাম অফিসার সুমি খাতুন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কিছু সুযোগ সন্ধানী বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে মরিয়া থাকে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়। গুজবে কেউ কান দেবেন না। এছড়া ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ নতুন করে আলোর মুখ দেখেছে তাই শিক্ষার্থী, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলকে সচেতন হয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ যে সম্প্রীতি রয়েছে তার প্রমাণ ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাহারা দিয়েছেন মুসলিম ছাত্র-জনতা। তার বড় উদাহরণ হলো সিলেট। সিলেটে কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসা-বাড়ি বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়নি। এছাড়া গত কয়েকদিন আগের বন্যায় দেখা যায় সনাতন ধর্মের লোকজন পূজার জন্য সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে বন্যার্তদের সহযোগীতার হাত বাড়িয় দেন।
বক্তারা বলেন, সামাজিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য। কর্মশলায় ধর্মীয় নেতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।