সিলেট শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান-সচিবের দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৫৯:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : একটি দুর্নীতির মামলায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কয়েক দফা শুনানী শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালত গত গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালককে তদন্তের নিদের্শ দেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।
লাগামহীন দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে গত ৫ মে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্তকৃত সেকশন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান (গত ৫ আগষ্ট থেকে আত্মগোপনে) প্রফেসর ডঃ রমা বিজয় সরকার গত ২০২০ সালের শেষের দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে তোলেন। বোর্ডের সচিব প্রফেসর মোঃ কবির আহমদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পালের সহযোগিতায় জেলা পেশাজীবি লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেন।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর বিধি-বিধান লংঘন করে শিক্ষা ভাতা খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, কাল্পনিক প্রজেক্ট তৈরী করে নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি করে তহবিল তছরুপ, দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল তৈরী করে ত্রিশ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো, মাষ্টার রোলে লোক নিয়োগ এবং ভূয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ রমা বিজয় সরকার, প্রাক্তন সচিব প্রফেসর মোঃ কবির আহমদের ব্যক্তিগত ফৌজদারী মামলার ব্যয় শিক্ষা বোর্ড তহবিল হতে খরচ করেন। সেকশন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এ সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে পদ থেকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।