আমিরাত থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬ বাংলাদেশী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:৫০:৪৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশে ফিরেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশী। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিমানযোগে আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরেন তারা।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডিত হয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশী। পরে তাদের ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৪ বাংলাদেশী গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৬ বাংলাদেশী আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে দুই দফায় আমিরাত থেকে ৪০ জন দেশে ফিরলেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর দন্ডিত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সেদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
তার আগে, গত ২০ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন। এরপর ৫৭ বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিচারের পর এই প্রবাসীদের মধ্যে কারও ১০ বছর, কারও ১১ বছর, এমনকি কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদন্ডও দেওয়া হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশীদের ভিসাসুবিধাও বন্ধ করে দেশটি।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমর্থনে আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ওই সময় তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখান থেকে তাদের আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষমা করে দেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ অবৈধ। সেখানে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটি। বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি ও জড়ো হওয়ার’ অপরাধে মামলা করা হয়েছিল।