শহিদ জাহিদের কবর জিয়ারতে নাগরিক আলেমসমাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:০৭:৫০ অপরাহ্ন
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে শহিদ হাফিজ আনোয়ার জাহিদের কবর জিয়ারত করেছেন নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়করা। বুধবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার পাঠানপাড়ায় শহিদের কবর জিয়ারত করেন তাঁরা। ২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনে সিলেটের একমাত্র শহিদ তিনি।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ ও আহতদের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি পালন করছে নাগরিক আলেমসমাজ। শহিদ আনোয়ার জাহিদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচির সূচনা হলো।
বুধবার নাগরিক আলেমসমাজের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমানের নেতৃত্বে শহিদ হাফিজ আনোয়ার জাহিদের কবর জিয়ারতে অংশ নেন মিশন ওয়ান মিলিয়নের প্রধান নির্বাহী হাফেজ মাওলানা ফায়যুর রাহমান, নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়ক মাওলানা কবির আহমদ খান, মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক নাওয়াজ মারজান, আদিব আহমদ, মাওলানা রশীদ মুশতাক ও লেখক মুতিউল মুরসালিন। শহিদ পরিবারের পক্ষে জিয়ারতে অংশ নেন আনোয়ার জাহিদের চাচা নানু মিয়া, চাচাতো ভাই মাহদী হাসান। মুনাজাত করেন শহিদ জাহিদের শিক্ষক ও আঞ্জুমানে তালিমুল কুরআন মাদরাসার সহকারী মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ আলী।
জিয়ারত শেষে নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়করা শহিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শহিদের বড়ভাই আনোয়ার পারভেজ জাহাঙ্গীর তাদের স্বাগত জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের জেরে সারাদেশে হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন ৬ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার জাহিদ। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার জালালাইন জামাতের শিক্ষার্থী ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার পাঠানপাড়ার আনোয়ার হোসেনের তৃতীয় ছেলে। হেফাজতের নিহতদের নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদনে শহিদ আনোয়ারের নাম রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি