থাপ্পড়কান্ডে ক্ষমা চাইলেন আল-ইসলাহ সম্পাদক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:০১:০২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে থাপ্পড়কান্ডে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন আঞ্চলিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল-ইসলাহের জুড়ী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ। বুধবার রাতে জুড়ীতে বিষয়টি নিয়ে শালিসি বৈঠকে ক্ষমা চান তিনি। শালিসে মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাপ্পড় দেওয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ডিলিট করে দিতে অনুরোধ করেন।
শালিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, আল-ইসলাহ নেতা আব্দুস শহীদ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব হাবিবুর রহমান হাবিবসহ স্থানীয় মুরব্বিগণ।
মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী বলেন, জুড়ীতে মিলাদুন্নবীর র্যালীকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এটিকে নিয়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান, আব্দুস শহীদসহ গণ্যমান্য মুরব্বিদের নিয়ে শালিসে বসা হয়। উক্ত ঘটনায় আল-ইসলাহ ও তালামীয এক তরফাভাবে ভুল স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনার জন্য তারা ক্ষমা চেয়েছে এবং আগামীতে যাতে এইরকম ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আর যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সেটাও বলে দেওয়া হয় বৈঠকে।
আল-ইসলাহ নেতা আব্দুস শহীদ বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এই ঘটনায় সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছিল, সেটি ভবিষ্যতে আর হবে না।
প্রসঙ্গত, গেল সোমবার মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জুড়ীতে একটি র্যালী বের করে স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠন আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া। র্যালিটি জুড়ী শহর থেকে শুরু হয়ে এম এ মুমিত আসুক চত্ত্বর হয়ে জুড়ী-বড়লেখা রোডের জাঙ্গিরাই এলাকায় পৌঁছালে মোটরবাইক আরোহী ব্যবসায়ী সাঈদ বিন সুলতান ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইন্টার্নরত চিকিৎসক মিনহাজ ফাহিম র্যালীটি অতিক্রম করে যেতে চাইলে বাঁধা দেন আঞ্জুমানে আল-ইসলাহের জুড়ী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ। এসময় বাইক আরোহী জরুরী প্রয়োজন বলে বাইক নিয়ে সামনে আগালে জুনেদ সাঈদ বিন সুলতাকে থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। মাকসুদ জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুক মিয়ার ভাতিজা।