সিলেটে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রাণবন্ত ‘লেসনস লার্নড ওয়ার্কশপ’
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরের ২৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত ও অতি দরিদ্র শিশু শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে শুরু হয়েছিলো ‘সাকসেফুল রিটার্ন টু স্কুল প্রজেক্ট’। সেভ দ্য চিলড্রেনের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সফলতার দুই বছর অতিক্রম করবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
এমন মাইলফলক অতিক্রমের প্রাক্কালে সেভ দ্য চিলড্রেনের আয়োজনে ও জাগরনী চক্রের ব্যবস্থাপনায় সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো ‘লেসনস লার্নড ওয়ার্কশপ’। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সিলেটের বিভাগীয় উপপরিচালক মো: জালাল উদ্দিন। সেভ দ্য চিলড্রেনের ডিরেক্টর (এডুকেশন) শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম। জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের মো: বনি আমিন খান ও সানন্দা সরকারের পরিচালনায় ওয়ার্কশপে প্রকল্পের অর্জন নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মো: নুরুল ইসলাম রাসেল। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুর রব ও এজেন্ডা শেয়ারিং করেন নাজমুল ইসলাম।
ওয়ার্কশপে জানানো হয়, বর্তমান প্রচলিত পাঠক্রমে শিক্ষার্থীদের উপর পড়ালেখা চাপিয়ে দেয়া হয়। সেখানে সফট স্কিলড ও খেলার ছলে আনন্দময়তার সাথে শিশুদের শেখার তেমন কোন সুযোগ নেই। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ২০২২ সালে মার্চ মাসে শুরু হয়েছিলো ‘সাকসেফুল রিটার্ন টু স্কুল প্রজেক্ট’। দুই বছর শেষে সে উদ্দেশ্য অনেকাংশে অর্জিত হয়েছে। ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীদের বাংলা ও গণিতের ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। ৪ হ্জাার ৩৩৬ শিশুকে একইসাথে ক্যাচ আপ ক্লাসের মাধ্যমে শিশুদের দক্ষতা ও লিডারশিপ ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। এজন্য গঠন করা হয়েছে ২৫টি চাইল্ড ক্লাব।
অতি দরিদ্র ৪ হাজার ১৫৯ শিশুকে শুঙ্খলা প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। ৪ হাজার ৩৩৬ শিশুকে দেয়া হয় শিশু সুরক্ষা উপকরণ ও ৮ হাজার ৪৯৬ শিশুকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে ডিজাস্টার প্রশিক্ষণও।
এ প্রকল্পে ২৫টি স্কুলের পাশাপাশি সব স্টেক হোল্ডার, সরকারী সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের এ প্রজেক্টের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সিলেটের বিভাগীয় উপপরিচালক মো: জালাল উদ্দিন বলেন, স্বল্প জনবল দিয়ে শিশুদের শিখন ঘাটতি পূরণে সেভ দ্য চিলড্রেন যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই সুন্দর সময়ে চিন্তা করতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। মন মগজে সৃজনশীলতার চিন্তা বাড়াতে হবে। আর আমরা ভালো কিছু করলে শিশুরাও ভালো করবে। আমাদের পরনির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
দিনব্যাপী প্রাণবন্ত এ ওয়ার্কশপে রিটার্ন টু স্কুল প্রজেক্টের ২৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ এসআরএস প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।