ভারতীয় বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ: রয়টার্স
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৫৫:০৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ দেশটির কাছে প্রয়োজনীয় ডলার নেই। সংশ্লিষ্ট নথি ও সূত্রের বরাত দিয়ে এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ব্যয়বহুল জ্বালানি ও পণ্যের আমদানি সমস্যার কারণে বাংলাদেশ তার ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই সমস্যা আরও গভীর হয়েছে।
যদিও এসব ঋণ গত আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের আগেই নেয়া হয়েছিল। তার আমলেই বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছিল। নতুন সরকার এসে যদিও সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। তবে এরপরেও বাংলাদেশ তার কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে জরুরিভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে বলে লিখেছে রয়টার্স। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়েছে। গত বছর, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি বেলআউট চেয়েছিল।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা চলছে, কিন্তু বর্তমান ডলার সংকট প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পাওনার মধ্যে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার আদানি পাওয়ারের। তবে আদানি পাওয়ার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পিটিসি ইন্ডিয়া এবং এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়া লিমিটেড বিপিডিবিকে তাদের পাওনা ৮০ মিলিয়ন এবং ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে। ২০২২ সাল থেকে বর্তমান চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে পিটিসি ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে থাকে। হাসিনা সরকারের সময় গত আট থেকে নয় মাস ধরে বিদ্যুতের জন্য কোনো বিল পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এসইআইএল ও পিটিসি ইন্ডিয়া আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ চুক্তির শর্তাবলী মেনে দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করবে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল থাকে।