৬ বছরেও শেষ হয়নি পাটলাই সেতু নির্মাণ কাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:৪৩:২০ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি: ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধিন পাটলাই সেতুর কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাসহ সর্বমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ওপর ডাম্পের বাজার থেকে নতুন বাজার সেতুর কাজ চলছে গত ৬ বছর ধরে। পর্যটন স্পষ্ট টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, লাকমা ছড়া, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী ও শিমুলবাগানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলাচল সহজ করতে এই সেতুর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিবেশ অনুকূলে থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানান অজুহাতে অনেক সময় কাজ বন্ধ রেখেছিল। শুধু তাই নয় শুরু থেকেই কাজে ধীরগতি ছিল। সেতুটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় বর্ষায় ও শুষ্ক মৌসুমে নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানান বয়সের মানুষজনকে। এতে করে সময় ও টাকা দুটোই নষ্ট হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেত।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে সেতুটির কাজ পুরোপুরি শেষ করতে কম হলেও আরো ছয় মাস সময় লাগবে। অন্যদিকে সচেতন মহল বলছেন-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি, কাজের ধীরগতি ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি না রাখায় এখনও শেষ হয়নি সেতুর কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন ডাম্পের বাজার থেকে নতুন বাজার সেতুর কাজ পায় ২০১৮ সালে তমা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী সাড়ে চারশ মিটার এই সেতুর কাজ ৪৩ কোটি ৭৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৭৯ টাকা ব্যয়ে শেষ করার কথা ২০২১ সালের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সেতুর ওপরের দুই পাশের রেলিংয়ের কাজ শেষ হয়নি। দুই পাশের চারশ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ বাকি আছে। এখনও সেতুর ওপরের একটি স্ল্যাবের কাজ বাকি রয়েছে। সেতুতে নয়টি স্ল্যাবের আটটি শেষ হলেও প্রতিটির শুরু ও শেষ অংশ সমান হয়নি। সেতুর কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে সেতুর কাজের গতি কিছুটা কমেছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় সেতু নির্মাণের কাঁচামাল পরিবহনে জটিলতা ছিল। এ ছাড়াও কাজ শুরুর পরে কাঁচামালের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। আশা করি দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ হবে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বছরে তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় কাজ করাই যায় না। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। বর্তমানে একটি স্ল্যাব ও দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ বাকি। তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।