থমকে আছে সিলেটের পর্যটন খাত!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:০৬:২৪ অপরাহ্ন
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ
এমজেএইচ জামিল : আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বিশেষ আয়োজন। প্রতিবছরই দিবসটি আসে, নানা প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনার কথা শুনা যায়। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগের অভাবে পরিকল্পনাতেই থমকে আছে সিলেটের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত।
হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরান (র.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত সিলেটকে বলা হয় দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী। পাহাড়, ঝর্ণা, নদী, হাওর, অরণ্য, চা বাগান কিংবা জলারবনের নৈসর্গিক লীলাভূমি সিলেট। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সিলেটের পরিচিতি বিশ^জুড়ে। বিদেশমূখিতার পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের বিনিয়োগের অনাগ্রহও দীর্ঘদিনের। সিলেটে বিনিয়োগহীনভাবে ব্যাংকে টাকা ফেলে রাখার প্রবণতার ইতিহাস অনেক পুরনো।
তবে গত এক থেকে দেড় দশকে সিলেটের এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন এনেছে পর্যটন খাত। এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা। গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট। গত এক দশকে সিলেটে পর্যটক সমাগমও বেড়েছে ব্যাপকহারে। ছুটির দিনগুলোতে সিলেটে কোনো হোটেল-মোটেলে কক্ষ খালি পাওয়া ছিল দুরূহ ব্যাপার। যদিও বর্তমানে লম্বা সরকারী ছুটিকে ঘিরে ধীরে ধীরে সিলেটে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। তবে পর্যটকের সাময়িক সমাগমে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না সিলেটের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
অথচ পর্যটন খাতকেই সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ খাত হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেটিই এখন সবচেয়ে বড় সংকটে।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ২-৩ বছর ধরে করোনা মহামারী ও ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের নিরন্তর সংগ্রামে চলছে এখনো। করোনার প্রকোপ আর কয়েকদফা বন্যা ছাড়াও নানা সমস্যার কারণে আশানুরুপ পর্যটক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে সিলেট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক দশক ধরে সিলেটের পর্যটন খাত নিয়ে শুধু পরিকল্পনাই হচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনা কিংবা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছেনা। ভাঙাচোরা সড়ক, অনুন্নত অবকাঠামো, নিরাপত্তাহীনতা, পরিকল্পনা ও প্রচারের অভাব, দক্ষ জনশক্তি না থাকায় এখনো পরিকল্পনাতেই থমকে আছে সিলেটের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতটি।
সিলেটের পর্যটন খাতে বিকাশে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে পরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনা। কারণ এতে পর্যটক দুর্ভোগ নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবা সেখানে জনপ্রিয় না হওয়ায় পর্যটকদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া হাকান চালকরা। মাঝিরা নৌকা ভাড়াও বাড়তি রাখেন বলে অভিযোগ আছে।
এছাড়া তুলনামূলক বেশী নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করা থাকলেও এসবও মানতে চায়না কেউ। প্রতি বছর জাফলং ও লালাখালসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পানিতে ডুবে অনেকের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর এমন ঘটনা ঘটলেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। পর্যটন পুলিশ বলে একটি বিশেষ ইউনিট থাকলেও তাদের তেমন কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের পর্যটন এলাকায় প্রতিনিহত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কয়েকটি পর্যটন স্পট মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই দশকে ৮০ জন পর্যটক মারা গেছেন। এদের বেশির ভাগেরই মুত্যু হচ্ছে পানিতে সাঁতার কাটতে নেমে। বার-বার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্টরা পর্যটকদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছেন। অপর দিকে পর্যটকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায়ই পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে প্রাণহানি বাড়ছে।
সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো বরাবরই পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। সেগুলোর মধ্যে আগ্রহের শীর্ষে থাকে জাফলং, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি ও লালাখাল। প্রতিটি পর্যটন স্পটই পানিকেন্দ্রিক। এসব স্পটে বেড়াতে এসে প্রায়ই পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন পর্যটকরা। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি ও স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। আর এ সময়টাতে ভিড় বাড়ে পর্যটকেরও। একই সঙ্গে পর্যটন স্পট গুলোতে বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনস্পট জাফলং। মেঘালয় পাঁহাড় ঘেষা জাফলংয়ের নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে অনেক স্থান মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই দশকে জাফলংয়ে বেড়াতে এসে ৬৫ জন পর্যটক মারা গেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় নদীর তীব্র স্রোতে, চোরাবালি, নৌকাডুবি ও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় গাইডলাইন না থাকা এবং তাদের সচেতনতায় তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণে একক কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নসহ নানা দিক দেখাশোনা করে। তাদের পক্ষে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো পরিচালনা করছে পর্যটন উন্নয়ন কমিটি। এর সভাপতি জেলা প্রশাসক। এই কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
২০২০ সালের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গেল ২০২২ সালের কয়েকদফা বন্যায় পতিত হয় সিলেট। এরপর চলতি বছরের মে-জুন মাসে ফের কয়েক দফা বন্যার মুখে পড়ে সিলেট। এখনো শুকায়নি সেই ভয়াল বন্যার ক্ষত। জেলার দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি ও রাতারগুল জলারবন। এই দুই স্থানে যাওয়ার সড়ক এখন ভাঙাচোরা। ফলে এসব স্থানে ভোগান্তিতে পড়ছেন পর্যটকরা। বিছনাকান্দির দূরত্ব সিলেট থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এই পথের মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার বঙ্গবীর রোড থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। মাঝে মাঝে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার হলেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফের ভেঙ্গে যায়।
রাতারগুলের অবস্থান সিলেট থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে। এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোরা। আবার চানপুর থেকে মোটরঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। এ কারণে বৃষ্টির দিনে যাতায়াতে সমস্যা হয় ব্যাপক। অটোরিকশা আর লেগুনা ছাড়া কোনো গাড়িই যেতে চায় না রাতারগুল ও বিছনাকান্দিতে। তবে গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে একটি পদক্ষেপ নেয়া হলেও শেষ অবধি সেটা আলোর মুখ দেখেনি!
জানা গেছে, ভ্রমণপিপাসুরা যাতে মাত্র দুই দিনে ২৩টি স্পট ঘুরে দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতেই গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনায় ছিল সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান ও পর্যটনশিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়টি। প্রস্তাবনা শুনে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন করে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে এর বাস্তবায়ন আজো সম্পন্ন হয়নি।
জানা যায়, সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জাফলং ও ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে একদিনে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা পথে যেখানে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই সাদাপাথর পৌঁছা যায়, সেখানে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে শুধু জাফলং আর সাদাপাথরই উপভোগ করতে পারেন তারা। যোগাযোগব্যবস্থা না থাকার কারণে ভারত সীমান্তঘেঁষা অধিকাংশ স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন পর্যটকরা।
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জাফলং আর সাদাপাথরের মধ্যবর্তী প্রায় ৫টি স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। এছাড়া পাথরকোয়ারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ এখন বেকার। কাজের খুঁজে অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি দিয়ে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। বেশির ভাগ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চোরাকারবারিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কটিও অপেক্ষাকৃত ভালো। তবে সাদাপাথরে পর্যটকদের জন্য ওয়াশ রুম, চেঞ্জ রুমসহ অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও বিছানাকান্দি, রাতারগুলসহ সিলেটের বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্রে এমন সুবিধা নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান ‘সিলেটের বেশিরভাগ পর্যটনকেন্দ্রে কোন বিশ্রামাগার ও ওয়াশরুম নেই। এতে পর্যটকরা এসব স্থানে এসে বিপাকে পড়েন। কেবল পর্যটন এলাকায় নয়, ওইসব স্থানে যাওয়ার পথেও ওয়াশরুম নির্মাণ করা প্রয়োজন। স্পটগুলোতে কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও নেই। ফলে পর্যটকরা অনেক সময় পর্যটন এলাকা নোংরা করে ফেলেন। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও জরুরী বলে জানান অনেকে।
সিলেটের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের মধ্যে সম্ভাবনাময় থাকা স্বত্বেও সবচেয়ে অবহেলিত, নিগৃহিত ও জর্জরিত খাত হলো সিলেটের পর্যটন খাত। প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি পেলেও সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে পর্যটন খাতটি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। প্রবাসী ও বেসরকারী উদ্যোগে বিনিয়োগ করে হোটেল মোটেল তৈরী করলেও সরকারী পৃষ্টপোষকতা ও উদ্যোগের কারণে অনেকেই বিনিয়োগ থেকে মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তারা বলেন, সিলেট থেকে দেশের যেকোন জায়গায় যেতে এবং আসতে বিমান, রেল ও সড়কপথে আমাদেরকে মোটা অংকের টাকা গুণতে হচ্ছে। সিলেটে বিমানের টিকেটের মূল্য বেশী, রেলের ব্যবস্থাপনা ভালো নয় তবুও টিকেটের দাম বেশী। বাসে চড়তেও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ফলে প্রথমেই সিলেটে আসার পূর্বেই পর্যটকদেরকেত হোচট খেতে হচ্ছে। সিলেটে বর্তমানে পর্যটকের আনাগোনা কিছুটা বাড়ছে ঠিক তবে এর মূল কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়ার ভিসা জটিলতা। হঠাৎ করেই কয়েকদিনের টানা ছুটিতে কিছু পর্যটক আসলো আর সারাবছর খরা এভাবে পর্যটন শিল্প টিকে থাকতে পারেনা। এজন্য সিলেটের পর্যটন শিল্পের প্রসারে দৃশ্যমান, কার্যকর ও বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নিতে হবে। এর এমনটি হলে পোশাক শিল্পের পরই সিলেটের পর্যটন শিল্প বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে ২য় স্থানে থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।
সিলেটের পর্যটনের ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বিমানের সাথে একীভুত করে বিমান ও পযর্টন মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে সিলেটের পর্যটন খাতকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বিমানের সাথে ডুবছে পর্যটনও। সিলেট হচ্ছে পর্যটনের সম্ভাবনাময় এলাকা। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার। কিন্ত সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাবে এই খাতকে কাঙ্খিত ফলাফল আসছেনা।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে আমাদের পর্যটক মোটামুটি ভালোই রয়েছেন। কিন্তু এটা পর্যাপ্ত নয়। সিলেটের পর্যটন খাতের জন্য বৈশি^ক প্রচারণার দরকার। এছাড়া যোগাযোগ, ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরী। আমাদের ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেবল নামেই বলা হয়। সে অনুসারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বা ট্রানজিট নেই। এছাড়া আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান ভাড়া তুলনামুলক বেশী। একটা সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগই সিলেটের পর্যটন খাতকে বিকশিত করতে পারে।