আন্দোলন দমনে ভিনদেশিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢুকিয়েছিল শেখ হাসিনা: রিজভী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:২০:১৮ অপরাহ্ন
জালালালাবাদ ডেস্ক: আন্দোলন দমনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ভিনদেশিদের ঢুকিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার আওয়ামী স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত সৈকত চন্দ্র দে ও পারভেজের পরিবারের প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে তারা ভিনদেশি লোকদেরকে ঢুকিয়েছিল। আমরা এই কথাগুলো শুনেছিলাম শেখ হাসিনার আমলেই, কিন্তু অতোটা আমলেও নেইনি। কিন্তু এখন জিনিসটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভিনদেশি নাগরিকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢুকানো হয়েছে। কারণ তারা হিন্দিতে কথা বলছেন।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই কাজগুলো করেছেন। কারণে নিজের দেশের লোকেরা যদি বিটেয় করে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তিনি তার প্রিয় দেশের কিছু সদস্য রেখেছেন। তা না হলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হিন্দিতে কথা বলবে কেন? আমাদের আন্দোলন দমন করার জন্য শেখ হাসিনা হিন্দুদেরকে ভাড়া করে নিয়ে আসলেন। এটা কি বড় ধরনের অপরাধ নয়? আপনি মাসুম বাচ্চাদেরকে গুলি করেছেন, গুম করেছেন, রাজনৈতিক নেতাদেরকে আপনি ক্রসফায়ারে দিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদেরকে নিজের গদি রক্ষার্থে ভিনদেশি মানুষদেরকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢুকিয়ে আপনি তাদেরকে দিয়ে কোমলমতি বাচ্চাদেরকে হত্যা করেছেন। আপনার মতো এতো বড় ঘাতক পৃথিবীতে আর কেউ ছিল বলে মনে হয় না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন,‘সজীব ওয়াজেদ জয় সুদূর আটলান্টিক থেকে মাঝে মধ্যে বাণী ছাড়েন। এর আগে কতো কথাই তো তিনি বলেছেন। আমি শুধু এখন এই কথাটাই বলবো, শেখ হাসিনা আপনার তো সন্তান দুইজন। একটা ছেলে, একটা মেয়ে। আপনি কিন্তু তাদেরকে ভদ্রতা-শিষ্টাচারের কালচার শেখাননি। এই সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তুই বলে সম্বোধন করেছেন তার কয়েকটি বক্তব্যে। আমরা কিন্তু কখনোই শেখ হাসিনার বর্বরচিত আচরণের পরেও তাকে তুই বলে সম্বোধন করিনি। আপনি বলেই সম্বোধন করেছি।’
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,‘একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা জনগণের পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি এটা ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও তাদের আত্মত্যাগের কারণে। তাদের জীবন উৎসর্গের কারণে এবং সেনাবাহিনীর যে সমর্থন ছিল এটা অনেকটাই কাজে লেগেছে।’